দুইবার জীবন পেয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ইনিংসকে বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় অক্ষর প্যাটেলের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২৮ বল খেলে ১ চারে মাত্র ১৩টি রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সাকিব-মিরাজে ৫০ রান পেরিয়ে বাংলাদেশ:
২৮ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা দুজন ৩১ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে ৫০ পার করেন।
তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ:
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। ফিরে গেছেন লিটন কুমার, তানজিদ হাসান ও এনামুল হক বিজয়। সেখান থেকে দলকে টানছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
লিটনের পর তানজিদের বিদায়, ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
লিটনের পর এবার বিদায় নিলেন দারুণ শুরু করা তানজিদ। শামির করা বলের লাইন মিস করে বোল্ড আউট হন এই তরুণ। আউট হওয়ার আগে ৩ চারের মারে ১২ বলে ১৩ রান করেন তানজিদ।
শূন্য রানে লিটনের বিদায়
তানজিদের দারুণ শুরুর পর শুন্য রানে বিদায় নিয়েছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। শামির করা গুড লেংথের বলটা পড়তেই পারেননি লিটন। কিছু বুঝার আগেই ইনসুইংয়ে ছত্রখান হয়ে যায় লিটনের স্টাম্প। তাতে ২ বল খেলে ০ রানে বিদায় নেন এই ওপেনার।
তানজিদ-লিটনে বাংলাদেশের দারুণ শুরু
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। মোহাম্মাদ শামিকে দারুণে এক চারে স্বাগত জানান তানজিদ। পরের ওভারেই শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুই চার মারেন এই ওপেনার। তাতে ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
তানজিমের অভিষেক
বাংলাদেশের ১৪৫তম ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তার অভিষেক হলো। তাসকিন, শরিফুল ও হাসানকে বিশ্রামকে রাখায় একাদশে পেসারের দরকার ছিল। ডানহাতি দ্রুতগতির বোলার তানজিমকে আজ বাজিয়ে দেখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এবারের এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় অভিষেক। এর আগে তানজিদ হাসান তামিম ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর অভিষেক হয়েছিল। তানজিদ অভিষেক ম্যাচের পর বাদ পড়েছিলেন। আজ আবার ফিরেছেন তিনি। শামীম টানা খেলে গেলেও এখনো নিজের সামর্থ্যের সবকুটু দিতে পারেননি।
টস
টস জিতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পরিবর্তনের জোয়ার দুই দলে
আগেই জানা ছিল দুই দল একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তনের জোয়ার। মুশফিকুর রহিম আগে থেকেই দলে নেই। এছাড়া নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদকে বিশ্রামে রেখে দলে ফেরানো হয়েছে এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। এছাড়া অভিষেক হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিবের।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের একাদশেও পাঁচ পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিরাট কোহলি, জসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়াকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। দলে এসেছেন সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, শার্দুল ঠাকুর, মোহাম্মদ সামি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, কেএল রাহুল, ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শার্দুল ঠাকুর, মোহম্মদ শামি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
হেড টু হেড
দুই দলের ৩৯ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জিতেছে ৭ ম্যাচে। ভারত জিতেছে ৩১টিতে। ফল হয়নি ১ ম্যাচে। গত বছর ডিসেম্বরে হয়েছিল দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ। বাংলাদেশ সফরে এসে ভারত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও। সেদিক থেকে এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স যেটাই হোক, আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
শূন্য হাতে ফিরতে চায় না বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে উঠলেও বাংলাদেশ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো লড়াই করতে পারেনি। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারত বরাবরই শক্তিশালী। সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারাতে চায় ভারতকে। শূন্য হাতে ফিরতে চান না সাকিব-লিটনরা। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। তবে অসম্ভব নয় মোটেও।
নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশ-ভারত
রোববারের ফাইনালে ভারত আগেই পা দিয়ে রেখেছিল। গতকাল নিশ্চিত হয়েছে তাদের প্রতিপক্ষ। পাকিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা গেছে ফাইনালে। তাইতো আজকের ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচটি স্রেফ নিয়মরক্ষার। ভারত নিশ্চিতভাবেই বেঞ্চ পরীক্ষা করবে।
বাংলাদেশেরও সুযোগ বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার আরেকটি সুযোগ কাজে লাগানোর। আর প্রেমাদাসায় ১২ ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখকর নয়। সব ওয়ানডেতেই এই মাঠে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরেছে বাংলাদেশ। তাই সাকিবদের সেই পরিসংখ্যান পাল্টানোর চ্যালেঞ্জও থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ