আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ রোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আবারও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে, কার্যকর করা হচ্ছে আঞ্চলিক লকডাউন। এতে, ঘুরে দাঁড়ানোর পথে আবারও স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি। এ কারণে, দাম হারাচ্ছে জ্বালানি তেল।
সোমবার (০২ নভেম্বর) এক ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম নেমে এসেছে ৩৫.৭৪ মার্কিন ডলারে। গেল ১০ মাসে এই তেলের দাম কমেছে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত। এদিন, প্রতি ব্যারেল ইউএস ক্রুড অয়েলের দাম পড়েছে ৭ শতাংশ। নেমে এসেছে ৩৩.৬৪ মার্কিন ডলারে।
এদিকে, ভোগ্যপণ্য ও পুঁজিবাজার এ সপ্তাহেই পার করে ফেলবে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাজার প্রভাব। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ সামাজিক যোগাযোগ মেনে চলার পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে এক রকম যুদ্ধই চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে।
তবে, দ্রুত করোনার ধাক্কা সামলে উর্ধ্বমুখী অর্থনীতির তুঙ্গে থাকা বিশ্বের ২য় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীনে বেড়েছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। বিভিন্ন পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় দেশের কল-কারখানা চলছে বেশ জোরেশোরে। সোমবার (২ নভেম্বর) অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির এই শীর্ষ দেশটি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী বছর বেসরকারি কোম্পানির অধীনে জ্বালানি তেল আমদানিতে ২০ শতাংশ কোটা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে।
এদিকে, চাহিদা কমে যাওয়ায় লন্ডনভিত্তিক বহুজাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানি বিপি ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। একই কারণে নেদারল্যান্ডসে রয়াল ডাচ শেল ৭ থেকে ৯ হাজার কর্মী করতে পারে; এমন পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
বাংলা৭১নিউজ/এএম