বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: নিঃশব্দ ঘাতক থাইরয়েড। হরমোন নিঃসরণের সামান্য তারতম্যে বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারেন একজন নারী। এখানেই শেষ নয়। এই এক রোগ থেকেই হাজারো রোগ বাসা বাঁধতে পারে আপনার শরীর। অবসন্নতা? দুর্বলতা? ঘুম ঘুম ভাব? ওজন বাড়ছে? চুল পড়ে যাচ্ছে? কোষ্ঠকাঠিন্য? খুব চেনা এই সব লক্ষণেই লুকিয়ে আছে রোগের পূর্বাভাস। আসলে এসবই কিন্তু থাইরয়েডের লক্ষ্ণণ। এখনই সতর্ক না হলে পরে বিপদ। থাইরয়েড হরমোনের সামান্য তারতম্য হলেই এই ধরনের নানা সমস্যা ভর করে শরীরে।
আমাদের গলার ঠিক নীচে প্রজাপতির মতো একটি গ্রন্থি থেকেই থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র পরিচালনায় থাইরয়েড হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে সাধারণত দু ধরণের সমস্যা দেখা যায়। গঠনগত সমস্যায় থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়, যাকে গয়টার বলে। কার্যগত সমস্যা- হাইপারথাইরডিজম(থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বেশি মাত্রায় সক্রিয়) হাইপোথাইরডিজম(থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কাজ করে না) গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের মস্তিষ্কের বিকাশ নির্ভর করে থাইরয়েড হরমোনের ওপরেই। এই সময়ে থাইরয়েড হরমোনের অভাব বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও গাঁটে গাঁটে ব্যথা, বুক ধড়পড়,শীত শীত ভাব, ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়া, হাড়ের ক্ষয়, বন্ধ্যাত্বের মতো গভীর সমস্যার জন্ম দেয় থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণের তারতম্য। চিকিৎসকেরা বলছেন খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন করতে পারলেই থাইরয়েডের হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খাদ্য তালিকায় রাখুন- প্রচুর শাক সবজি, কাজু, আলমন্ড, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, আয়োডাইজড লবণ, ডিম।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস