অপরিশোধিত তেল বিনিময়ে ডিজেল দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেনিজুয়েলাতে জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিনিধি ও তেল আমদানিকারকরা।
ডিজেলের সম্ভাব্য ঘাটতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ভেনিজুয়েলার গণপরিবহন, কৃষিখাতে এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জেনারেটরের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয় ডিজেল। কৃষকরা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন, ডিজেলের ঘাটতিতে চিনি উৎপাদন ও ধান রোপণ বাধাগ্রস্ত করবে।
দেশীয় শোধনাগারগুলো সক্ষমতার আংশিক কাজ করায় ডিজেলের আরও তীব্র ঘাটতি ভেনিজুয়েলায় ব্যাপকভাবে পেট্রলের ঘাটতি বাড়িয়ে তুলবে। ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির গ্রাহকদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংকট জর্জরিত ওপেক দেশকে পেট্রল সরবরাহের অনুমতি দেয়নি ওয়াশিংটন।
২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে ট্রাম্প প্রশাসন অপরিশোধিত তেলের বিনিময়ে ভেনিজুয়েলাকে ডিজেল পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কারাকাস ভিত্তিক সহায়তা গ্রুপ অ্যাকিয়ন সলিডারিয়ার সভাপতি ফ্যালিসিয়েনা রেইনা বলেন, আমরা আশা করি নবাগত বাইডেন প্রশাসন এ নিষেধাজ্ঞার কৌশলগত দিক খতিয়ে দেখবে। যেন ক্ষমতায় কোনো দলের অবস্থান পরিবর্তন না করে এবং জনগণের জন্য সমস্যা তৈরি না করে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যায়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র জানান, মাদুরোকে স্বৈরশাসক মনে করেন বাইডেন। পরামর্শদাতারা বলেছেন, বাইডেন হয়তো কিছুক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখতে পারেন। মিত্রদের সম্মতি নিয়েই কীভাবে সেটি আরোপ করা যায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদিত কোম্পানি ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, স্পেনের রেপসোল এসএ এবং ইতালির এনি এসএ যারা নিয়মিত ডিজেল বিনিময় করে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ অনুমতিপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো ডিজেলের বিনিময়ে ভেনিজুয়েলার অপরিশোধিত তেল শোধন করে।
রিলায়েন্সের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশা নতুন প্রশাসন আবারও এ ছাড় দেবে। এ আশায় সংস্থাটি ডিজেল অদলবদলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে বিডেনের মিত্রদের অবহিত করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এআর