বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর সমাধান খুঁজতে হবে : শিল্পমন্ত্রী বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে : সাবের চৌধুরী বিতর্কে নাস্তানাবুদ বাইডেনের নতুন ‘অজুহাত’ ভ্রমণের ক্লান্তি গাইবান্ধায় বিপৎসীমার ওপরে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহারের আশা প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আধুনিক করা হচ্ছে : আইজিপি শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বরিশালে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিলো এবি ব্যাংক চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের হুমকি জাবি শিক্ষার্থীদের মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স‌ঙ্গে বাংলা‌দে‌শি দূ‌তের সাক্ষাৎ দেশের ৫ বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত নারীকে আস্ত গিলে খেয়েছে অজগর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়ে যা বললেন মন্ত্রী শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে : প্রতিমন্ত্রী কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ জাপানের কথাসাহিত্যিক জাহানারা নওশীন মারা গেছেন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে উন্নয়ন ইস্যু অগ্রাধিকার পাবে দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলেন শিক্ষার্থীরা জামিন নিতে এসে কারাগারে বিএনপির ২৯ নেতাকর্মী

তেঁতুলিয়ার ভাঙনে ১৭ গ্রাম নদীগর্ভে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৭ মে, ২০১৬
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী: বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে পটুয়াখালীর দশমিনার উপজেলার অন্তত ১৭টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে সরকার কর্তৃক খাসজমি বন্দোবস্ত না দেওয়ার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

জানা যায়, বাউফল উপজেলা তেঁতুলিয়া নদীর ক্রমাগত ভাঙনে প্রায় ২৩ হাজারেও বেশি একর ফসলি জমি, ১১ কিলোমিটার ও অধিক বেড়িবাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ ১৭ গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে অন্তত কয়েক হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এখন নিঃস্ব।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নে নদী ভাঙনে ভোলাইশিং, বেলচর, কালীরচর, চঙ্গারচর, চরতৈলাক, চরভুপেন্দ্র, পাতারচরসহ সাতটি গ্রাম সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে রণগোপালদী ইউনিয়নের চরঘুনি, আউলিয়াপুর, দক্ষিণ রণগোপালদী, উত্তর রণগোপালদী, চরশাহজালাল, চরবোরহান, দশমিনা ইউনিয়নের হাজিরহাট, গোলখালী, কাটাখালী, চরহাদী, কাউয়ারচর, সৈয়দ জাফর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রাম, চরবাঁশবাড়ীয়া, চরবোরহান, চরসাইমুন, ঢনঢনিয়া গ্রামসহ অন্তত ১৭টি গ্রাম।

নদী ভাঙনে নিঃস্ব আমজাদ আলী ফকির জানান, তেঁতুলিয়া নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে অপরিকল্পিতভাবে বনায়ন করায় নদীর স্রোতের গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে দশমিনা উপজেলার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানছে। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুম ও গ্রীষ্মের শুরুতে উপজেলার তীরবর্তী এলাকা ভেঙে মূল ভূখণ্ডের আয়তন হারাচ্ছে।

অপরদিকে নতুন, নতুন চর জেগে উঠে দ্বীপচরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী ভাঙনে ভিটামাটি হারা পরিবারগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দশমিনার নদী ভাঙন রোধের সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এলাকাবাসী জানান, এখনও বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। কিন্তু ভাঙন ক্রমশই বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর নদীর ভাঙনের তীব্রতায় প্রতিদিন প্রায় শত একর ফসলি জমিসহ বেড়িবাঁধ বিলীন হতে শুরু করেছে।

বাংলা৭১নিউজ/কেএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com