আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ‘ইউএফও’ নিয়ে মাঝে মধ্যেই আলোচনার সৃষ্টি হয়। যা নিয়ে বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উচ্ছ্বসিত হয়ে থাকেন।
এবার তুরস্কের আকাশে দেখা গেল তেমনই রহস্যময় মেঘ। বিরল গঠনের এই মেঘ তৈরি করেছিল দৃষ্টিবিভ্রম, অনেকের কাছেই এটা লাগছিল ইউএফও’র (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্ট) মতো। বিস্ময়কর এই দৃশ্য দেখতে সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। অনেকেই ভেবেছিলেন কোনো মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহরে বুরসায় অদ্ভুত এই রঙিন মেঘের দেখা মেলে। অনেক মানুষ মেঘের বিস্ময়কর এ গঠন দেখতে জড়ো হয়েছিলেন, অনেকেই ছবি তুলেছেন ভিডিও করেছেন আর সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আকাশে স্থায়ী ছিল এই মেঘ, এর মাঝখানে বড় একটি গর্তও ছিল।
তবে তুরস্কের স্টেট মেটিওরোলজিক্যাল সার্ভিস অদ্ভুত এই মেঘের গঠনকে কোনো মহাজাগতিক ঘটনা নয়, বরং প্রাকৃতিক একটি বিরল ঘটনা বলে জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের কাছে যা ‘লেন্টিকুলার ক্লাউড’ নামে পরিচিত। এ ধরনের মেঘগুলো তাদের বাঁকা ও ফানেল আকৃতির চেহারার জন্য পরিচিত।
লেন্টিকুলার মেঘ তৈরি হয় যখন বায়ুমণ্ডলের স্তরটি স্যাচুরেশনের ঠিক ওপরে থাকে, যার অর্থ তারা পাহাড় এবং পর্বতের ওপর প্রবল বাতাসের ওঠানামার ফলে তৈরি হয় যখন বাতাস স্থিতিশীল এবং আর্দ্র থাকে। ঘন মেঘের ওপর সূর্যরশ্মি পড়ায় এমন লাল-কমলা-হলুদ রঙ ধারণ করে মেঘ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকায় বায়ুপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে অনেক সময় একই স্থানে পাক খেতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে বায়ুর অংশবিশেষ উপরের দিকে উঠে গিয়ে শীতল হয় ও এ ধরনের মেঘের গঠন তৈরি করে।
পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত শীতকালেই এ ঘরনের মেঘের গঠন বেশি দেখা যায়। তবে বছরের অন্য সময়েও মেঘের এমন গঠন সম্ভব। এই ধরনের মেঘ দেখা যাওয়ার পরদিন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ