বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

তিস্তার ভাঙনে বিপর্যস্ত সুন্দরগঞ্জ, পুনর্বাসন-ত্রাণ সহায়তার দাবি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। কানি-চরিতাবাড়ি, লখিয়ারপাড়া, পাড়াসাদুয়া, চর-মাদারীপাড়া ও বোয়ালীর চরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট এবং বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বহু পরিবার নতুন করে হুমকির মুখে রয়েছে।

প্রতিদিন ঘরবাড়ি হারানো এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে, চরের পথে বা রাস্তার ধারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকেই গৃহপালিত পশুপাখিসহ অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। কিছু পরিবার আত্মীয়-স্বজনের আশ্রয়ে থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে অধিকাংশ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছে। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি তাদের দাবি দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী এবং পুনর্বাসন সহায়তা।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের দাবি, নদীভাঙন ও বন্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে, তিস্তা নদীর চরের কারণে পানির প্রবাহ তাদের বসতভিটার দিকে ধাবিত হয়ে ভাঙন ত্বরান্বিত করছে। ফলে বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। দুর্গত পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সহায়তার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

কানি চরিতাবাড়ি গ্রামের নদীভাঙনের শিকার আবদুল মতিন মিয়া বলেন, এবারের নদীভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। বাপ-দাদার ভিটে হারিয়ে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলাম। কোথায় গিয়ে দাঁড়াব, কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

একই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা‌ সিদ্দিক মিয়া বলেন, গত সপ্তাহ থেকে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। অথচ ভাঙন রোধে কারও কোনো নজরই নেই। কখন যে নদী ভেঙে আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় সেই ভয়ে আছি। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সন্তানদের নিয়ে সারারাত জেগে থাকি। 

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনে এই ইউনিয়নের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অনেকেই কর্মসংস্থানের জন্য রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চলে গেছেন। তবে এই দুর্যোগের সময় তাদের পরিবারের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর জন্য চার দফায় ১২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া জিইউকে নামের একটি বেসরকারি সংস্থা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ভাঙনের কারণে এখন পর্যন্ত ২৮২ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, তাই আরও সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই পর্যন্ত প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি বিশেষ ভিজিএফ চাল প্রদান করা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com