বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক : আড়াই বছর পর ওয়ানডেতে ধবলধোলাই বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজের একটিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি তারা। এই ব্যর্থতায় হতাশ হলেও ভেঙে পড়ছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যর্থতার মধ্যেই খুঁজে নিচ্ছেন সান্ত্বনার নুড়ি পাথর।
গত আড়াই বছর বাংলাদেশ ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছে দেশের মাটিতে, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। কিন্তু ওয়ানডেতেই কিউইদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হার। যে দুই সংস্করণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি খাবি খায়, সেই টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সামনে। বিরূপ কন্ডিশনে এই দুই সিরিজেও ভরাডুবির শঙ্কা থাকছেই…। অবশ্য ওয়ানডে সিরিজে হেরেও মনোবল হারাচ্ছেন না মাশরাফি, ‘তিন ম্যাচ দিয়েই আমাদের বিচার করা ঠিক না। যদি বিচারই করতে হয়, অনেক ইতিবাচক দিকের কথা বলব। উপমহাদেশের দল এখানে এসে সুযোগও তৈরি করতে পারে না। আমরা অন্তত সেটা করতে পেরেছি। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকতাম। পাঁচ বছর পর এখানে খেলতে এসে সবকিছু আমাদের পক্ষে থাকবে, আশা করা ঠিক না। এই সফরে এখনো অনেক ম্যাচ বাকি আছে। এটা ভেবে এখনই ভেঙে না পড়ে যদি ভালো খেলতে পারি…একটি ভালো দিন পুরো সফরটা অন্য রকম করে দিতে পারে।’
আজ তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের ওপেনিং জুটিতে ১০২ রান যোগ করার পরও স্কোরটা বড় হয়নি বাংলাদেশের। দুর্দান্ত শুরুর পরও এই হারের ব্যাখ্যা কী? মাশরাফিরও সেটি জানা নেই। ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বললেন, ‘ব্যাখ্যা দেওয়া আসলে কঠিন। এমন শুরুর পর আমরা আশা করছিলাম স্কোরটা আরও বড় হবে। সাত-আটজন ব্যাটসম্যান তখন ড্রেসিংরুমে। এক-দুটি উইকেট পড়ার পর আবার সেট হয়ে খেলতে হয়, ওরা যেটা করতে পেরেছে, আমরা সেটা পারিনি। আমরা মানসিকভাবে অতটা শক্ত ছিলাম না।’
সুযোগ পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে না পারায় ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য নয়, মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি বড় করে দেখছেন মাশরাফি, ‘দুই দলের স্কিল যদি তুলনা করেন, তাদের সমানই ছিলাম। আমরা আসলে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছি। এখনো বিশ্বাস করি, আমাদের ব্যাটসম্যানদের রান করার সামর্থ্য আছে। স্কিল আছে, মানসিকভাবেই তারা পিছিয়ে পড়েছে। আরেকটু ইতিবাচক থাকলে ভালো হতো।’
বাংলা৭১নিউজ/এম