সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসনের বিকল্প নেই ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রূপালী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৪তম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন রেললাইনে উঠে গেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগ চরমে: লালমনিরহাট ধর্ষণ মামলায় আসামি হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ টি-টোয়েন্টিতে নতুন মুখ ২টি, ফিরলেন মিরাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি সোনা গায়েব গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৮ নেতানিয়াহুর ওপর হামলা, ইসরাইলজুড়ে বিমান পরিবহন বন্ধ ঘোষণা ৪০ লাখ শ্রমিক পাবে টিসিবির পণ্য, ১ অক্টোবর থেকে বিতরণ তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মত ভেসে যায়: জিএম কাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে আমরা আগস্ট বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চাই: মেজর হাফিজ

তিন অন্ধের উপার্জনের সম্বল নিয়ে গেলো চোর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের তিন অন্ধ সাইফুল ইসলাম (৩৫), শহীদুল ইসলাম (৩২) ও মোমিনুল ইসলাম(২৮)। বাবা মো. মোস্তফা ২০ বছর আগেই মারা যান। মা ছকিনা বেগম কষ্ট করে কোলে পিঠে করে বড় করেন তিন সন্তানকেই। বড় হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে না জড়িয়ে তিন ভাই মিলে শুরু করেন বাড়ির সামনে ছোট্ট একটি মুদি দোকানের ব্যবসা। যা তাদের আয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সেই দোকানের টিন কেটে সব মালামাল নিয়ে গেছে চোরের দল। আয়ের অবলম্বন দোকানের সব মালামাল হারিয়ে এখন তারা পাগলপ্রায়। দোকানে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মালামাল থাকলেও চুরি হয়ে যায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল।

তিন সহোদর জানান, জন্ম থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও মানুষের কাছে হাত না পেতে চেষ্টা করেছেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে। সবার সহযোগিতায় তারা একটি মুদি দোকান দিয়েছিলেন। এখন তাদের সব শেষ।

তিন সহোদরের মা ছকিনা বেগম বলেন, সাইফুলের স্ত্রী রেজিয়া বেগম, শহীদুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা বেগমকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার তিন ভাইকে চালাতে হয়। অনেক বছর আগে আমার স্বামী মো. মোস্তফা মারা যান। তিন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি। কিন্তু তাদের কোনো অসম্মানজনক পেশায় দেওয়ার কথা চিন্তাও করিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছকিনা আরও বলেন, ভাইদের দেওয়া সাহায্যে ও নিজের তৈরি করা ডালা, কুলা, চাঁইসহ গৃহস্থালি জিনিস বিক্রি করে এক-আধপেটা করে নিজের সন্তানদের বড় করিনি। কিন্তু এক পর্যায়ে সংসারের ছয় জন সদস্যের ভরণপোষণ আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছিল না।

বড় ছেলে সাইফুলের বয়স যখন ১৩ বছর তখন আমার দেওয়া সামান্য পুঁজিতে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চকলেট, চুইংগাম, আচার বিস্কুট বিক্রি শুরু করে। ধীরে ধীরে অপর দুই সন্তানও তার ক্ষুদ্র ব্যবসায় যুক্ত হয়। তিন ভাইয়ের সামান্য সঞ্চয় আর আমার ডালাকুলা বিক্রির কিছু আয় দিয়ে পাশাপাশি মানুষের সহযোগিতায় বাড়ির পাশে একটি মুদি দোকান দিয়েছিল। এখন সব শেষ।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহীদুল ইসলাম বলেন, সরকারি বেসরকারি কোনো সংস্থা বা কোনো ব্যক্তি উদ্যোগে যদি আমাদের বিনা সুদে কিছু টাকা ঋণ হিসেবে দেয় তাহলে আবার মালামাল কিনে স্বাবলম্বী হতে পারবো।

এ বিষয়ে শুভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সেলিম বলেন, চুরির ঘটনা শুনেছি। চোরদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে দোকানটি পুনরায় চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

ছাগলনাইয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, চুরির ঘটনা জানা ছিল না। কেউ অভিযোগ দেয়নি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com