মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’ বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করবে সরকার এবার ভারতে দুই শিশুর শরীরে মিললো এইচএমপিভি চারদিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭৬৫ কোটি টাকা বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার করতে হবে বেপজাকে: প্রধান উপদেষ্টা মেক্সিকোতে পানশালায় বন্দুক হামলা, নিহত ৫ সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর নামে দুর্নীতির ২ মামলা খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোক ঘরে ফিরেই জ্বলে উঠেছে সিলেট বৃহস্পতিবার থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা ডিজিটাল কোর্ট করে দেননি কেন? পলককে বিচারকের প্রশ্ন কোন ডিবি সাধারণ পোশাক পরে আসামি গ্রেপ্তার করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৮২তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস জিতলেন যারা গাজীপুরে আজও সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

তামিমের জিহাদি জীবন : কানাডা, সিরিয়া ও বাংলাদেশে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
তামিম চৌধুরী

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছেন, ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মাস্টারমাইন্ড বা মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন এই বাংলাদেশী-বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান তামিম চৌধুরী-যিনি শনিবার নারায়ণগঞ্জে এক পুলিশী অভিযানে নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক শহিদুল হক বলেছেন, তামিম চৌধুরী নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদীনের ‘নব্য’ অংশের নেতা।

তা ছাড়া কোনো কোনো গবেষকের মতে তিনিই ইসলামিক স্টেটের মুখপত্র দাবিক-এ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী শেখ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ। তাকে নিয়ে এর মধ্যে বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে রিপোর্ট বের হয়েছে।

তামিম চৌধুরী ও কানাডা থেকে সিরিয়া যাওয়া আরো কয়েকজন জিহাদি

তামিম চৌধুরী ও কানাডা থেকে সিরিয়া যাওয়া আরো কয়েকজন জিহাদি

বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটুকু জানা যায় তামিম চৌধুরীর জন্ম ১৯৮৬ সালে।

তার পিতামাতা বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানিবাজারের বাসিন্দা ছিলেন, ১৯৭১এর পরে তারা কানাডা প্রবাসী হন।

কানাডার ওন্টারিওর উইন্ডসর শহরে বড় হন তামিম এবং সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই স্নাতক ডিগ্রি নেন।

উইন্ডসরে যারা তামিমকে চিনতেন তারা তাকে ‘শান্ত স্বভাবের’ বলে বর্ণনা করেছেন।

দাবিকে আবু ইব্রাহিম আল হানিফের সাক্ষাৎকার

দাবিকে আবু ইব্রাহিম আল হানিফের সাক্ষাৎকার

এর পর তিনি ক্যালগারি শহরে চলে যান এবং সম্ভবত সেখানেই ইসলামী উগ্রপন্থার সাথে জড়িত একটি গোষ্ঠীর সাথে তার ঘনিষ্ঠতা হয়-বলেন ডালহাউসি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাকেন্দ্রের ফেলো অধ্যাপক অমরনাথ অমরাসিংগম।

মি. অমরাসিংগম সিরিয়ায় যাওয়া কানাডীয় জিহাদিদের সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, সম্ভবত ২০১২ সালে তামিম চৌধুরী সিরিয়ায় যান।

তার মতে, কানাডা থেকে অন্তত ১৮০ জন অন্য দেশে গিয়ে জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সিরিয়ায় নিহতও হয়েছেন।

মি. অমরাসিংগম লিখেছেন, সরাসরি বলা না হলেও তথ্যভিত্তিক অনুমান করা চলে যে তামিম চৌধুরী এবং আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ একই লোক।

কানাডার ন্যাশনাল পোস্টে তামিম চৌধুরীকে নিয়ে রিপোর্ট

কানাডার ন্যাশনাল পোস্টে তামিম চৌধুরীকে নিয়ে রিপোর্ট

পরের বছরই ২০১৩ সালের অক্টোবরে তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে আসেন। জানা যায়, তার আগে তিনি কানাডায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ‘হয়রানির’ শিকার হন।

বাংলাদেশে এসে তামিম চৌধুরী জামা’তুল মুজাহিদীনের একটি অংশকে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা যায়। উল্লেখ্য জেএমবিকেই বাংলাদেশের একমাত্র সহযোগী এবং ‘প্রকৃত জিহাদি সংগঠন’ বলে মনে করে ইসলামিক স্টেট – এ কথা একাধিকবার তাদের মুখপত্র ‘দাবিক’এর নানা নিবন্ধে লেখা হয়েছে।

এ বছরই এপ্রিল মাসে ‘দাবিক’-এ এক সাক্ষাৎকারে আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ বলেন, তারা বাংলাদেশকে ‘ক্লেদ’ থেকে ‘পরিশুদ্ধ’ করার কাজ করছেন। ‘দাবিক’-এর ওই সাক্ষাৎকারে আল-হানিফকে বেঙ্গল-এ ইসলামিক স্টেট বা ‘খিলাফাহ’র সৈন্যদের আমির বা নেতা’ বলে পরিচয় দেয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, ইসলামিক স্টেট ‘বেঙ্গল’কে কৌশলগত অবস্থানের কারণে খেলাফত ও বৈশ্বিক জিহাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং তারা জিহাদের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে বার্মা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করতে চায়।

নারায়ণগঞ্জের এ বাড়িটিতে পুলিশি অভিযানে নিহত হন তামিম চৌধুরী

নারায়ণগঞ্জের এ বাড়িটিতে পুলিশি অভিযানে নিহত হন তামিম চৌধুরী

দু’বছর আগে থেকে এ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে একাধিক আক্রমণের ঘটনায় সংখ্যালঘু, লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, অধ্যাপক, সমকামী অধিকারকর্মী, এবং বিদেশী নাগরিককে হত্যা করা হয়।

এর পর গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলায় জঙ্গীদের হাতে নিহত হন ১৭ জন বিদেশীসহ মোট ২০ জন। সেখানে পুলিশের অভিযানে আক্রমণকারীরা সবাই নিহত হয়।

বাংলাদেশের পুলিশের মহাপরিদর্শক শহিদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম চৌধুরীকে গুলশান ও শোলাকিয়ায় ঈদের দিনের হামলার পেছনে মূল ব্যক্তিদের অন্যতম বলে উল্লেখ করেন।

তাকে এবং সেনাবাহিনীর বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াউল হককে ধরিয়ে দেবার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র:বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com