বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় সড়কে প্রাণ গেলো বাংলাদেশির আজই কারামুক্ত হবেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন-হোসেন, আশা আইনজীবীর ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাড়ে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার টিউলিপ ও পুতুলের বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির অনুসন্ধান নির্বাচনের আগে ট্রায়াল কোর্টে বিচারের আশা আসিফ নজরুলের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা গাজীপুরে দিনব্যাপী ‘মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর সামিট-২০২৫’ মারা গেছেন সাবেক আইজিপি আজিজুল ৩ কোটি টাকা মূল্যের শো-রুমের গাড়ি নিয়ে লাপাত্তা : গ্রেপ্তার ৫ দেশের ইতিহাসে প্রথম গোয়েন্দা জাহাজ উন্মোচন করল ইরান প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি শুরু, চলবে মার্চ পর্যন্ত ক্যান্সার আক্রান্ত গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু তাবলিগ জামাতের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা বান্দরবানে ৭ শ্রমিককে অপহরণ

তাবলিগ জামাতের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

তাবলিগ জামাতের আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে বিদ্যমান জুবায়ের ও সাদপন্থিদের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত ছাত্র সমাজ নামের একটি সংগঠন। এজন্য আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। অন্যথায় রাজপথে নামার মতো কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ব্যানারে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পবিত্র ইবাদতকে ঘিরে মারামারি, খুনাখুনির মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সরকার প্রধান এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির দাবি জানাচ্ছি।

একইসঙ্গে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান তারা। অন্যথায় ২০ জানুয়ারি পর ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেখানে অপ্রীতিকর যেকোনো ঘটনার জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্র জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাবলিগ জামাত, যা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক এবং সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াহ কার্যক্রমের অন্যতম মাধ্যম।

এ ইবাদতকে ঘিরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা তাবলিগ জামাত নয়, বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সৌহার্দ্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আমরা পর্যবেক্ষণ করছি যে তাবলিগ জামাতের বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে একপক্ষ চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাই আমরা সেই বৈষম্যের দূর করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতের প্রধানরা ভারত ও পাকিস্তান থেকে নির্বিঘ্নে যেন আসতে-যেতে পারেন সে ব্যবস্থা করুন। কাকরাইল মসজিদ মাওলানা সাদপন্থিরা ১৪ দিন ও মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা ২৮ দিন ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে একপক্ষ জোরপূর্বক কাকরাইল মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেখেছেন, যা বৈষম্যের চরম পর্যায়ের প্রতিফলন। যে রীতি এতদিন ছিল সেটি পুনর্বহাল করত হবে।

জহিরুল ইসলাম জানান, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে বৈষম্য দূর করতে হবে। টঙ্গীর ময়দান, যা বিশ্ব ইজতেমার কেন্দ্রস্থল, বছরের অধিকাংশ সময় শুরাই নেজামের নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিজামুদ্দিনের মূলধারার তাবলিগ শুধু ইজতেমার সময় সীমিত কয়েকদিন ময়দান ব্যবহার করতে পারেন।

ইজতেমার সময় বরাদ্দে বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে শুরুতে জুবায়েরপন্থিরা প্রথম পর্বের ইজতেমা আয়োজন করে আসছিলেন। বিশ্ব মারকাজ নিজামুদ্দিন বা সাদপন্থিরা বারবার দ্বিতীয় পর্বে স্থান পেয়েছেন। সেটি যেন বজায় থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

এই শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে সাদপন্থি তাবলিগের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন মসজিদে আমল করতে গেলে প্রায়ই বাধার সম্মুখীন হন। মসজিদগুলোতে তাদের দাওয়াহ কার্যক্রম এবং আমল পরিচালনায় শুরাই নেজামের পক্ষ থেকে বাধা প্রদান করা হয়। এ ধরনের আচরণ তাবলিগের মূল দর্শনের পরিপন্থি এবং দাওয়াত কার্যক্রমে সংকট তৈরি করছে। এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র মইনুল হাসান চৌধুরী বলেন, এ বৈষম্য নিরসনে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সম্পূর্ণ বৈষম্য নিরসনে এ উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।

তারা বৈষম্যবিরোধী সরকারের কাছে তাবলিগ জামাতের উভয়পক্ষের মধ্যে বিবদমান সমস্যার ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক স্থায়ী সমাধানে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন–

১. উভয়পক্ষই যেন তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের নিয়ে যার যার কার্যক্রম (অর্থাৎ জোড়, ইজতেমা ও অন্যান্য আমল) পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. উভয়পক্ষের জন্যই কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর ময়দান এবং দেশের প্রতিটি মসজিদে উভয়পক্ষের তাবলিগের আমলে সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয়পক্ষকে একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য ও কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

তারা জানান, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এসব দাবির আলোকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গৃহীত না হলে বিগত ১৮ ডিসেম্বরের স্থগিত করা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com