অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সবচেয়ে বড় কাজ ভোটারতালিকা হালনাগাদ করা। গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। ভোটারতালিকা যাচাই করার সুযোগ হয়নি কারো। গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছে তাদের সবার নাম তালিকায় তোলা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই।
আজ (সোমবার) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার একান্ত ইচ্ছা, এবারের নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেওয়া তরুণ-তরুণী ভোটাররা শতকরা ১০০ ভাগের কাছাকাছি ভোট দিয়ে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করুক। সবাই মিলে আমরা যেন এ লক্ষ্যে নানা প্রকার সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করি।
স্থানীয় নির্বাচনসহ সকল পর্যায়ে সব নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেওয়া তরুণ ভোটাররা যেন ১০০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট দিয়ে ঐতিহ্য সৃষ্টি করেন সে লক্ষ্যে কাজ করতে তিনি নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ফলে যদি অল্প কিছু সংস্কারের পর নির্ভুল ভোটারতালিকা প্রণয়ণের পরই নির্বাচন করতে হয়, তাহলে হয়তো ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে হয়তো আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ