ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে ১৪টি দাবি তুলে ধরেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্ট তিনি এসব দাবি তুলে ধরেন।
ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য হাসনাত আবদুল্লাহর দেয়া স্টাটাসটির অনুলিপি তুলে ধরা হলো–
‘জুলাই বিপ্লবের ৯ দফার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত নিম্নোক্ত দাবিগুলোর সাথে আরও কী কী দাবি যুক্ত হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
১. ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ছাত্র সংসদকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে।
২. জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্যোগ নিয়ে মামলা দায়ের করতে হবে।
৩. গত পনেরো বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত মেধার ভিত্তিতে সিট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুততম সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের কমন রুমের সংখ্যা ও সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।
৬. বর্তমান সিট সংকটের প্রেক্ষিতে সংস্কারপূর্বক সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে পুনরায় শিক্ষার্থীদের সিট প্রদান করতে হবে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয় আইন করে গেস্ট-গণরুম প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত করতে হবে।
৮. প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনের ভিত্তিতে স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও হলের রিডিং রুম আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করতে হবে।
১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।
১১. নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ব্যতীত গণপরিবহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১২. শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন ও হলে হলে ডিসপেনসারি স্থাপন করতে হবে।
১৩. রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সেবার মান আধুনিকীকরণ করতে হবে।
১৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে আধুনিক স্থাপত্যের আলোকে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ