বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে বড় হার দিয়ে বিপিএল শুরু করেছে রাজশাহী কিংস। ম্যাচ শেষে হারের কারণ ব্যাখ্যা করলেন রাজশাহীর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
ওপেনার হযরতউল্লাহর জাজাইয়ের ঝোড়ো ফিফটি ঢাকাকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিল। মাত্র ৪১ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে তার ৭৮ রানের টর্নেডো ইনিংস ও শেষ দিকে শুভাগত হোমের ৩৮ রানের ক্যামিওতে ১৮৯ রান করে ঢাকা। লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহী অলআউট হয়ে যায় ১০৬ রানেই।
৮৩ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানালেন, জাজাই-ই গড়ে দিয়েছেন দুই দলের পার্থক্য, ‘ও (জাজাই) অনেক বেশি ভালো ব্যাটিং করে গেছে। যেগুলাই মেরেছে একদম ক্লিন হিট মেরেছে।অনেক ভালো ভালো বলও কিন্তু ছয় চার মেরেছে। ওখানেই ওরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। ওখানেই আমরা পিছিয়ে গিয়েছি।’
ফিফটির পরই জাজাইকে জীবন দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক জাকির হাসান। এরকম আরো কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে রাজশাহীর ফিল্ডাররা। মিরাজের তাই সুযোগগুলো কাজে না লাগাতে পারার আফসোস, ‘আমাদের যেই সুযোগগুলো ছিল সেগুলো যদি নিতে পারতাম, আরো ১০-২০ রান কম হতো। এখানেই আমাদের একটু কমতি ছিল।’
এই ম্যাচ দিয়েই বিপিএলে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে মিরাজের। এর আগে দুটি যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেও সিনিয়র পর্যায়ে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা এটাই তার প্রথম। অধিনায়কত্ব নিয়ে মিরাজ বলেছেন, অবশ্যই এটা আমাদের জন্য বড় জায়গা, প্রথমবার এমন বড় জায়গায় অধিনায়কত্ব করেছি। অবশ্যই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি একটা ম্যাচ থেকে। আমার কোন কোন জায়গায় কমতি ছিল, ভুল ছিল।
৯ ওভারেই একশ রান তুলে ফেলেছিল ঢাকা। ১১৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্রতই আরো ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল রাজশাহী। এরপরই ঝড় তোলেন শুভাগত। বোলাররা ভালো করতে না পারলে অধিনায়কের জন্যও কাজটা কঠিন হয়ে যায় বলে মনে করেন মিরাজ, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আসলে বোলাররা মার খায়, কোনো বোলাররাই যখন কামব্যাক করতে পারে না, এটা আসলে অনেক কঠিন ছিল।
দেখেন প্রায় ১০-১২ ওভার আধিপত্য করেছে ওরা। প্রায় ১২০-১২২ রানের মতো করেছে। পরে আমরা চার পাঁচ ওভারে ভালো ক্যামব্যাক করেছি। পরে ওরা আবার রান করেছে। এগুলো আসলে হয়ে যায়, যখন বোলাররা ভালো বল করে না, ব্যাটসম্যান বেশি ভালো ব্যাট করে, তখন অধিনায়কত্ব কঠিন হয়ে যায়।
রাজশাহী ৩০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছে বলে মনে করেন মিরাজ। তবে ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে এই রানও তাড়া করা অসম্ভব ছিল না বলেই মনে করেন রাজশাহী অধিনায়ক, আমার মনে হয়, আমরা ৩০ রান বেশি দিয়েছি। এই উইকেটে ১৯০ রান তাড়া করা অনেক কঠিন। বল নিচু হচ্ছিল, গ্রিপ করছিল।
আমরা যদি ১৬০-১৭০ রানের মধ্যে রাখতে পারতাম আমাদের জন্য সুযোগ থাকত। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো করতো তাহলে হয়তো আমরা ভালো একটা স্কোর করতে পারতাম। হয়তো লড়াই করা যেত। ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে এই স্কোরেও হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারত।
বাংলা৭১নিউজ/এএস