শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি একদিনে ইউক্রেনের ১২০০ সৈন্য-যুদ্ধবিমানসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি রাশিয়ার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহাদাত হোসেন খান হিলু মারা গেছেন বিজয়ের ব্যাটে রাজশাহীর প্রথম জয়, দ্বিতীয় হার ঢাকার বাদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, শহীদ ওয়াসিমের নামে হলো চট্টগ্রামের উড়ালসড়ক উত্তেজনার পারদ ছড়ানো ম্যাচে মুখোমুখি রংপুর-বরিশাল প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইপিআর নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে শিক্ষকতাকে প্রথম শ্রেণির পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে : হাসনাত ১৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার বাংলা‌দেশি-ভারতীয় আটক জেলেদের হস্তান্তর ৫ জানুয়া‌রি হাসপাতালে পরিবারের সবাই, অভিনেত্রী অঞ্জনা সংকটাপন্ন এক সমন্বয়কের নেতৃত্বে প্রশাসন ভবনে তালা, অবরুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারী আহত রাতুলকে বিজিবির সহায়তা বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি, ইউপিডিএফ সদস্য নিহত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মুজিব কিল্লা নির্মাণে দুর্নীতির অনুসন্ধান দুদকের জালে ডাকের সাবেক ডিজি সুধাংশু শেখর ভদ্র মধুমতীর পানি বাড়ায় ভাঙনের কবলে ‘স্বপ্ন নগর’ আশ্রয়ণ প্রকল্প যশোরের মাহফিলে আসুন, দেখা হবে, কথা হবে গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের কোনও সম্পর্ক নেই

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রতি দিনের ডায়েটে ডিম কি আদৌ হিতকর? এ নিয়ে বিশ্বের নানা দেশের গবেষকরা স্পষ্টত দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। এক দল মনে করতেন, ডিমে যেহেতু কোলেস্টেরল বেশি, তাই তা নিয়মিত খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। তবে সেই ভয় দূর করার খাতিরেও প্রচুর গবেষণা হয়েছে৷ এবং দেখা গিয়েছে ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের কোনও সম্পর্ক নেই৷

তবে নিশ্চয়তার কথা যদি এটি হয়, তবে সাবধানবাণীও রয়েছে। ডায়াবিটিক হলে নিয়মিত ডিম খাওয়ায় হৃদরোগের আশঙ্কা কিছুটা বাড়লেও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা চিকিৎসকদের একাংশের।

আবার চিকিৎসকদেরই আর এক অংশের দাবি, ডায়াবিটিকরা যদি লো–কার্বোহাইড্রেট ডায়েটের সঙ্গে ডিম খান, অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি তাতে তাদের হৃদরোগের আশঙ্কা উল্টে কমে৷ অর্থাৎ মোদ্দা কথা হল, বয়স হচ্ছে বলে আগে থেকেই ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়াটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

ডিমের ভাল দিক

  • ডিম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খাবার৷ এতে প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ সবই আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে৷ ফলে নিয়মিত খেলে এক দিকে যেমন ভাল পুষ্টি হয়, অন্য দিকে আবার প্রোটিনসমৃদ্ধ বলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে৷ প্রোটিন বিপাকেও বেশি ক্যালোরি খরচ হয়৷ ফলে অন্যান্য নিয়ম মানার সঙ্গে নিয়মিত ডিম খেলে ওজন ও রক্তচাপ বশে রাখা সহজ হয়৷ তার হাত ধরে সুস্থ থাকে হার্ট৷
  • ডিমে ফ্যাট থাকে ৫.৩ গ্রামের মতো৷ তার প্রায় দু’গ্রামের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট, আর ৩ গ্রামের মতো থাকে উপকারী ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড৷ হার্ট ভাল রাখতে যার ভূমিকা বিরাট৷
  • ডিমে আছে কোলিন নামের উপাদান, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যার বিরাট ভূমিকা৷
  • লুটেন ও জেক্সানথিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে ডিমের কুসুম, যার উপকার প্রভূত৷ এতে ভিটামিন-এ বেশি থাকে৷ চোখ ভাল রাখতে ও বয়সজনিত চোখের অসুখ- যেমন ছানি ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ঠেকাতে এটি অনবদ্য৷

ডিম ও কোলেস্টেরল

বড় সিদ্ধ ডিমে প্রায় ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে৷ অর্থাৎ সারা দিনে যতটা দরকার তার দ্বিগুণেরও বেশি৷ তবে তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই৷ কারণ লিভার এমনিতেই প্রচুর কোলেস্টেরল তৈরি করে৷ খাবার থেকে বেশি এলে সেই উৎপাদন এমনিই কমে যায়৷তবে এড়িয়ে চলুন কাঁচা ডিম।

 

ডিম খেলে ৩০ শতাংশ মানুষের মোট কোলেস্টেরল ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অল্প বাড়তে পারে৷ কাজেই যাঁদের রোগের প্রবণতা বা রোগ আছে, তাঁরা সপ্তাহে দু’-একটার বেশি খাবেন না৷ তবে কুসুম বাদ দিয়ে রোজই খেতে পারেন৷ সে ক্ষেত্রে একাধিক খেলেও ক্ষতি নেই৷

খারাপ কোলেস্টেরল মাপে যত ছোট হয় ও যত গায়ে গায়ে লেগে থাকে, তত বিপদ৷ ডিম খেলে এরা মাপে বাড়ে, গায়ে সেঁটে থাকার প্রবণতা কমে৷ ফলে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই প্রশমিত হয়৷

সুস্থ মানুষ ৬ সপ্তাহ দিনে দুটো করে ডিম খেলে রক্তের ভাল কোলেস্টেরল প্রায় ১০ শতাংশ বাড়ে৷ আবার সপ্তাহে ৫টা করে পাস্তুরাইজড (উপযুক্ত উপায়ে জীবাণুবিহীন করে সংরক্ষিত)ডিম তিন সপ্তাহ ধরে খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড কমে ১৬–১৮ শতাংশ৷ তার হাত ধরে কমে হৃদরোগ, স্ট্রোকের আশঙ্কা৷

ডিম খাওয়ার প্রকারভেদ

ডিম ভাজা খেলে ভিটামিন–মিনারেল কমে যায়৷ ফ্যাট ও ক্যালোরি বাড়ে৷

কাঁচা ডিমে উপকার বেশি৷ ক্যালোরি ও ফ্যাট কম৷ খেলোয়াড়দের ডায়েটে তাই অনেক সময় এই ডিম দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে সালমোনেলা জীবাণু থাকে, যা থেকে মারাত্মক পেটের অসুখ হতে পারে৷ শিশু, বয়ষ্ক ও গর্ভবতী মহিলাদের হলে বিপদ বেশি৷ কাজেই জীবাণুমুক্ত বা পাস্তুরাইজড না হলে ডিম কাঁচা খাবেন না৷

সেদ্ধ ডিমে অরুচি হলে স্ক্র্যাম্বল্‌ড এগ খান৷ নন স্টিক ফ্রাইং প্যানে বানালে তেল লাগে না বলে, এই উপায়ে ডিম খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরিও শরীরে ঢুকতে পারে না৷ কুসুম বাদ দিলে ক্যালোরি আরও কমে যায়৷ তাতে মাশরুম, পিঁয়াজ পাতা, পিঁয়াজ, পালং ইত্যাদি মেশালে বাড়ে পুষ্টি৷

এক নজরে

  • কোনও অসুখ–বিসুখ না থাকলে রোজ ডিম খান৷
  • হৃদরোগ ঠেকাতে ডিমের ভাল ভূমিকা আছে৷
  • হার্টের অসুখ থাকলেও ডিম খাওয়া যায়৷
  • ওজন বা কোলেস্টেরল বেশি হলে খান কুসুম বাদ দিয়ে৷
  • কুসুম বাদ দিলে দিনে ২–৩টি ডিম খেতে পারেন৷
  • ভাজা না খেয়ে খান সেদ্ধ বা স্ক্র্যাম্বল্‌ড এগ৷

বাংলা৭১নিউজ/এসই

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com