বাংলা৭১নিউজ, মাসুম সিদ্দিকী,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বাউফল হাসপাতালের ব্রাদার মোঃ ইউনুসকে দিয়ে জরুরী বিভাগে আসা রোগীদের কাটা ছেড়ার সেলাই করানো হয়। অথচ এই কাজটি করার কথা উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার কর্তৃক। এ ব্যাপারে অভিযোগ থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
জানা গেছে, বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ইউনুস বাউফল হাসপাতালের ব্রাদার পদে চাকরী করলেও তিনি সব সময় জরুরী বিভাগে কাজ করছেন। অথচ এই কাজটি করার কথা দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসারের। বাউফল হাসপাতালে ৫ জন উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার থাকা সত্বেও ব্রাদার ইউনুস জরুরী বিভাগে আসা কাটা ছেড়া রোগীদের সেলাই ও ড্রেসিং কাজ করেন। অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতেই সিন্ডিকেট করে তাকে দিয়ে এই কাজটি করানো হচ্ছে। জরুরী বিভাগে আসা রোগীদের কাছ থেকে গ্রহণকৃত অর্থের ভাগ ওইসব উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার পেয়ে থাকেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, ব্রাদার ইউনুসের মাধ্যমেই রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে সর্ব নি¤œ ২শ’থেকে ১ হাজার টাকা বা তার বেশি আদায় করা হয়। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার আদায়কৃত ওই অর্থ থেকে ভাগ পান। ব্রাদার মোঃ ইউনুসের দায়িত্ব হলো হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীদের সেবা দেয়া। কিন্তু তিনি একাজটি এ হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই করছেননা। অভিযোগ রয়েছে, তিনি যেসব রোগীদের কাটা ছেড়ার সেলাই করেন, কিছু দিন পর সেখানে ইনফেশন দেখা দেয়। অথবা পুনরায় তাকে সেলাই দিতে হয়। বাউফল শহরের ভিআইপি রোড এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস ভূট্রো অভিযোগ করেন, ২৭ মার্চ তার ৭ম শ্রেণী পড়–য়া ছেলে সিয়ামের দুর্ঘটনা জনিত কারণে জিহ্বা কেটে গেলে তাকে নিয়ে বাউফল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে যান। সেখানে দায়িত্বরত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রেবেকা সুলতানা থাকা সত্বেও তিনি সেলাই (স্টিজ) না করে ব্রাদার ইউনুস তার ছেলের জিহ্বা সেলাই দিয়েছেন। বাসায় নেয়ার পর তার ছেলের জিহ্বার সেলাই কেটে যায়। পরে অন্য এক সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এসে তার ছেলের জিহবায় সেলাই করেন। এরকম আরও বহু অভিযোগ রয়েছে ব্রাদার ইউনুসের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ফেরদৌস ভূট্রো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ আনম মঈনুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, জরুরী বিভাগে একটি সিন্ডিকেট এ কাজটি করেছেন। তাদের অধিকাংশ স্থানীয় লোক হওয়ায় কাউকে পরোয়া করেন না। কিছু বললে বরং হেনস্তা হতে হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস