কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৪টায় দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পিপইয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুছা মিয়া দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর মোহাম্মদপুর গ্রামের জায়েদ আলীর ছেলে।
নিহত জুয়েল মিয়া (৩৪) বরিশাল জেলার পাথরঘাটা থানার মধুদিয়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে এবং আটক মুনছুর আলী (৩৫) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার ফুদখালী গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপেজলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাচার কচুয়া সড়কের আশপাশের গ্রামে প্রায় চুরি-ডাকাতি হচ্ছে। তাই গ্রামবাসী ডাকাতি প্রতিরোধ করতে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। শনিবার দিবাগত রাতে একদল লোক পিপইয়াকান্দি গ্রামের আবদুল কাদেরের বাড়িতে ঢোকেন। পাহারাদাররা তাদের দেখে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে কাদের মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে।
এ ঘোষণা শুনে নয়াবাজার, মোহাম্মদপুর নারকেলতলা ও পিপইয়াকান্দি গ্রামের জনগণ বাড়িটি চারদিক থেকে ঘেরাও করে ও ডাকাতদের মারধর করে। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মুছা মারা যান। আহত জুয়েল ও মুনছুর আলীকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে জুয়েল মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত মুনছুর আলীকে চিকিৎসা শেষে আটক রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আবদুল কাদের বলেন, আমাদের গ্রামে ও আশপাশে ডাকাতি হওয়ায় আমরা পাহারা বসাই। একদল লোক আমার বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢুকলে পাহারাদাররা তাদের দেখে ফেলেন। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে চার গ্রামের লোকজন তাদের গণপিটুনি দেয়। এতে মুছা ডাকাত নিহত হন। পুলিশ এসে আহত দুজনকে নিয়ে যায়। পথে আরো একজন মারা গেছেন। তবে আমার দুটি গরু উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া বলেন, আজ ভোররাতে পিপইয়াকান্দিতে ডাকাতির সময় চার গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন এবং একজনকে আটক করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার পিপইয়াকান্দি গ্রামে ডাকাতির সময় গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত দুই ডাকাতের মধ্যে একজন মুছা দুই-তিনটি মামলার আসামি। অন্যরা জেলার বাইরের। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে। দুটো গরু উদ্ধার করা হয়েছে। একজন আটক রয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ