বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে লাখ লাখ মানুষ। ঘরমুখো মানুষের অধিকাংশের ভরসা বাস-ট্রেন। শনিবার সকাল থেকে বাসের পাশাপাশি ট্রেনেও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছেড়েছে দেরিতে।
নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রীরাই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ট্রেনটি সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায় সাড়ে ১১টার দিকে। এ ছাড়া রংপুর এক্সপ্রেস সোয়া এক ঘণ্টা দেরি করে কমলাপুর ছেড়ে যায় সোয়া ১০টার দিকে।
কমলাপুর স্টেশনের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেসের নিয়মিত যে ট্রেন সেটি নির্ধারিত সময়ের পরও কমলাপুর এসে না পৌঁছানোয় এ ট্রেনের যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় আরেকটি ট্রেন যুক্ত করা হয়। ফলে ট্রেনের আসন বিন্যাসেও আনা হয় পরিবর্তন। আর এতে চরম বিড়ম্বনা এবং দুর্ভোগের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন যাত্রীরা।
কমলাপুরের স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে সারাদিনে ৫২টি ট্রেন আমরা চালাব। এর মধ্যে আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন মিলে (সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ) ১৭টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক রিপন জানান, যাত্রীরা বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন। যাত্রী চাপ আজ থেকে শুরু হয়েছে। কাল-পরশু যাত্রীচাপ বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাড়কে যান চলাচল বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে। এদিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তায় রাস্তায় বৃষ্টির পর পানি জমে আছে। যে কারণে এ সড়টিকে যান চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/আইএম