গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ফলে পানির ওপর নির্ভরশীল দেশের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে।
রবিবার (১৯ জুন) কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে ৩টি ইউনিটে মোট ৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
তার মধ্যে ২ নম্বর ইউনিটে ৩৯ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ২৯ মেগাওয়াট এবং ৫ নম্বর ইউনিটে ৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। হ্রদে পানি বৃদ্ধির আগে ২৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো।
এ ছাড়া ১ নম্বর ইউনিট পুনর্বাসনের জন্য বন্ধ থাকলেও ৪ নম্বর ইউনিটটি হ্রদে পানি আরো বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনে চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদে বর্তমানে ৮৯.৭৬ এমএসএল পানি থাকার কথা থাকলেও রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৭.০৪ এমএসএল পানি রয়েছে।
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আরো জানান, এখন বর্ষা মৌসুম প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে ধীরে ধীরে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো বাড়বে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত গ্রীষ্মে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে শুকিয়ে কমে গিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ লেক কাপ্তাই হ্রদের পানি। হ্রদের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দেশের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। ফলে কেন্দ্রের ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি ইউনিটের মধ্যে ২টি ইউনিট চালু রাখা হয়েছিল। বাকি ৩টি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ