পঞ্চগড়ে গত এক সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে কনকনে শীত ও ঘনকুয়াশা। উত্তরদিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার কারণে দিন দিন বাড়ছে শীতের দাপট। ফলে জেঁকে বসেছে শীত। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ৩ দিন ধরে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে মৃদু কুয়াশা ও কনকনে শীতে মানুষজন গরম কাপড়ের পাশাপাশি খড়খুটো জ্বালিয়ে আগুনের আশ্রয় নিয়েছে। সন্ধ্যা থেকে এ জেলায় কুয়াশা শুরু হয়ে সকাল পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলো কিছু সময়ের জন্য দেখা গেলেও শীতের মাত্রা থেকেই যায়। সাথে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া বইছে। ফলে এ জেলার সাধারণ মানুষ ও দিনমজুররা পড়েছেন চরম বিপাকে৷ শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে এ পর্যন্ত ২১ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ইতোমধ্যে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া জেলার ৫ উপজেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সুশীল সমাজের দাবি, প্রতিবছর যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। জেলায় জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ।
আর ১২ লাখ জনসংখার মধ্যে প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ মানুষ গরীব অসহায় ও শীতার্ত। প্রতিবছর যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তবে তারা গরীব অসহায়দের পাশে থাকার জন্য সরকার ও গরীব অসহায় শীতার্তদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এবিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের হিমেল বাতাসের কারণে এ জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা বেশি করে। বেশিরভাগ দিনেই শীতের পাশাপাশি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে