টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট ১১৮ জন মারা গেলেন। শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (২ জুলাই) ভোর ৬টা পর্যন্ত ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ১৯৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চার জন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, জুনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে শতাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে ২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের ৮০০ সদস্য মাঠে রয়েছেন। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ১১৩টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন অমান্য করে কেউ যেন টাঙ্গাইলে প্রবেশ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউন অমান্য করে আসা কোনো যানবাহনকে যেন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে না দেওয়া হয়, সেজন্য সেতু কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ