বাংলা৭১নিউজ, মোঃ লিহাজ উদ্দীন মানিক, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইকুড়ি নদীটি দিন-দিন বিলুপ্তি হওয়ার পথে। উপজেলার ভেল্লাই দহলা কান্দর থেকে উৎপত্তি প্রকৃতির পানি দক্ষিণে বয়ে আসা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পাথরাজ নদীতে মিলিত হয়েছে। উপজেলার পৌর শহরের সর্দারপাড়ার উত্তর দিক শিমলতলী থেকে এই ঝিনাইকুড়ি নদীর ওপর ছোট ছোট ৩টি ব্রীজ ছিল।
এক সময় ভরা বর্ষায় ব্রীজের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। এখন বর্ষা মৌসুমে এই নদীতে পানি থাকে না। নদীর দুই সাইড দখল হয়ে মাটির সাথে বিলিন হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এক শ্রেণীর মানুষ নদী দখল করে বাসাবাড়ি তৈরিসহ নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন। এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকাবাসি।
স্থানীয় চাষিরা জানান, শুঙ্ক মওসুমে প্রথম দিকে নদীর পানি দিয়ে বীজতলা ও বোরো-রবি আবাদ করা যেত। বর্তমানে নদীটি ভরাট হয়ে মরা ড্রেনে পরিনতো হয়েছে। এলাকার প্রবীন ব্যক্তিরা জানান, এক সময় ঝিনাইকুড়ি নদীতে পাওয়া যেত শোল, বোয়াল, টেংরা, শাঁটি, কই, মাগুর, পুঁটি, চিংড়ি ও বাইং ইত্যাদি মাছ। আগে বর্ষা পর শুঙ্ক মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহিত হতো। জেলেরা জাল দিয়ে দেশীয় মাছ ধরতো। বর্ষার পরেও নদীতে পানি না থাকায় মাছসহ নদীর অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
এরই মধ্যে দেশীয় অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে এলাকার অভিজ্ঞমহল ঝিনাইকুড়ি নদী অবৈধ দখলকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে এবং এই নদীটিকে বাঁচাতে সরকারি ভাবে খনন করে নদীর গতিশীলতা ফিরে আনার জন্য সরকারের প্রতি আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস