ঝালকাঠিতে মৎস্য অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৫ মণ জাটকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জেলার কৃষ্ণকাঠি পেট্রোল পাম্প মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে এ জাটকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় কুয়াকাটা থেকে বেনাপোলগামী দুটি বাসের বাংকার থেকে ১২টি পেটিতে অন্তত ১৫ মণ জাটকা জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জাটকা পরিবহনের দায়ে দুটি বাসের ৬ জনকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুয়াকাটা-বেনাপোল রুটের যাত্রীবাহী বাস ‘কুয়াকাটা এক্সপ্রেস’র চালক মো. মামুন হোসেন, সুপারভাইজার মো. খোকন ও হেলপার আলতাফ হোসেন।
এছাড়া একই রুটের ‘সেভেন ষ্টার’ পরিবহনের চালক মো. দিপু, সুপারভাইজার আশরাফুল ইসলাম এবং হেলপার মো. রিপন। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী তাদেরকে এ দণ্ডাদেশ দেন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ।
জব্দকৃত জাটকা রাতেই বিভিন্ন মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিং, এতিমখানা এবং সরকারি শিশু পরিবারে বিতরণ করে দেয়া হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, নভেম্বর থেকে জুন ৮ মাস জাটকা আরোহন, পরিবহন, মজুত এবং বেচা-বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উদ্ধারকৃত জাটকা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার মহিপুর বন্দরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ থেকে পিরোজপুর, খুলনা ও যশোর জেলার বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছিলো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী বলেন, আমরা আজ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়েছি। জুনমাস পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ