শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

‘জয়ের স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে শফিক রেহমান গ্রেপ্তার ‘

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগকে কাল্পনিক দাবি করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, জয়কে অপহরণ বা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ মার্কিন আদালত আমলে নেয়নি। শুধু জয়ের ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের ওপর ভিত্তি করে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলা ও শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমেরিকান নাগরিক রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে আমেরিকান আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে ২০১১ সালে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে একজন এফবিআই এজেন্টকে তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে এক হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন এবং কিছু নথি পেয়েছিলেন। তাঁর অপরাধ ছিল সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়া এবং এফবিআই কর্মকর্তার অপরাধ ছিল ঘুষ নেওয়া ও বিনা অনুমতিতে সরকারি দলিল কোনো ব্যক্তিবিশেষকে হস্তান্তর করা।

এই মামলা চলাকালে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে যে প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছিল, তাতে ২০১৩ সালের ৯ মার্চ সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুকে যে বক্তব্য পোস্ট করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী আহমেদ সিজারের দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়। একটি হলো জয়ের জীবনযাপন ও দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া এবং অন্যটি তাঁকে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

বিচার চলাকালে জয়ও নিজেকে ‘ভিকটিম’ দাবি করে অভিযোগ করেন, সিজার তাঁকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ৪ মার্চ দেওয়া রায়ে জয়কে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য না পেয়ে আদালত অভিযুক্ত রিজভী আহমেদ সিজারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন এবং জয়কে ‘ভিকটিম’ হিসেবে মানতে রাজি হননি। এ সময় ফখরুল ওই মামলার রায়ের কিছু অংশও তুলে ধরেন।

ফখরুল বলেন, মামলার রায়ে প্রমাণিত হয় যে রিজভী আহমেদ সিজার প্রকৃতপক্ষে জয় ও তাঁর মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপনের প্রমাণ হিসেবে নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন এবং কিছুটা সফলও হয়েছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, শুধু জয়ের ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে এফআইআর, গোপনে তদন্ত ও মামলা হয়েছে। মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করে ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া সরকারের লিখিত প্রতিবেদন, অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের কোনো জবানবন্দি, মামলার রায়, এমনকি ঢাকার রমনা থানায় করা এফআইআর বা পল্টন থানায় করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান বা বিএনপির কোনো নেতার নাম উল্লেখ নেই।

অথচ শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে, মাহমুদুর রহমানকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই কাল্পনিক অভিযোগে দেশ-বিদেশে থাকা বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের সম্পর্কে যথেচ্ছ অভিযোগ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির মাহমুদ খসরু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com