দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ও ভারত হাইড্রোকার্বন সহযোগিতার ক্ষেত্রে দ্বিমুখী বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, যৌথ গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে।
বর্তমানে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুরে হাইস্পিড ডিজেল সরবরাহের জন্য নির্মাণাধীন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন একে সমৃদ্ধ করবে।
হাইড্রোকার্বন খাতে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতার একটি কাঠামো বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল সম্মেলনে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সম্মেলনে জানানো হয়, বৈদ্যুতিক শক্তি রূপান্তর, উৎপাদন, গ্যাস এবং পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ এবং হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানে সহযোগিতার সম্ভাব্য অন্যান্য উপায়গুলোও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
দুই দেশের অর্থনীতি ও সমাজ উভয় ক্ষেত্রই কৃষিকেন্দ্রিক হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকও এদিন নবায়ন করা হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের কথা মাথায় রেখে, ভারতে বাংলাদেশি রফতানি এবং সামগ্রিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সম্পর্কিত একটি গবেষণা চালু করা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সুবিধার পাশাপাশি পণ্য ও পরিষেবাদিতে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তির সূচনা করবে। এটি ভারতের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বাড়াতে সহায়তা করবে এবং সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করবে।
উভয় দেশের নেতা যৌথভাবে দুটি উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন কমিউনিটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন- একটি রাজশাহী সিটি কপোরেশনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশ ও ঐতিহ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য এবং অন্যটি খুলনা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে খালিশপুর কলেজিয়েট বালিকা বিদ্যালয়ের ভৌত ও সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। বরিশাল শহরে ভারতের অর্থায়নে আবর্জনা/কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনের সরঞ্জাম সরবরাহ ও উন্নয়নের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, এবং পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
বাংলা৭১নিউজ/সর