বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন তিনি।
এসময় আদালতের বিচারক খালেদা জিয়াকে তিনটি প্রশ্ন করেন।
প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়- আপনি কি দোষী?
জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
পরের প্রশ্নে বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন- আপনি কি সাফাই সাক্ষী দিবেন?
‘হ্যাঁ, আমি সাফাই সাক্ষী দিব’ জবাবে বলেন খালেদা।
সর্বশেষ বিচারক জানতে চান- আপনি কি সাফাই সাক্ষীর পরে আর কোনো বক্তব্য দিবেন?
সাফাই সাক্ষীর পর আর কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে জানান তিনি।
সাফাই সাক্ষীতে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে বলেন, বর্তমানে সবখানেই অনিয়ম চলছে। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। বিএনপির ৭৫ হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন। সারাদেশে আমাদের দলের প্রায় ৪ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজার মামলা রয়েছে। বহু নেতাকর্মী গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। কিন্তু তারা কোনো ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
একপর্যায়ে খালেদা জিয়া অসুস্থার কথা বলে সময় আবেদন করেন। পরে বিচারক তার সাফাই সাক্ষীর জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় আসামি করা হয় আরও তিনজনকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
বাংলা৭১নিউজ্/এম