বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ ভারতে পদদলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৭ লিবিয়ায় ২ ভাইকে জি‌ম্মি, মুক্তিপণ নিতে এসে গ্রেপ্তার ২ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে ব্যারিস্টার সুমন দুর্নীতিবাজের রোষানলে পাঁচমাসে ৬১১ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান: সংসদে পরিবেশমন্ত্রী মেয়ের পরকীয়ার জেরে খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী, ১৩ বছর পর রহস্য ভেদ চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা উন্নয়ন প্রকল্পে এডিবির বিনিয়োগ ২২ হাজার কোটি টাকা নেত্রকোনায় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে গাজীপুরে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ কুয়েতে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৭৫০ প্রবাসী গ্রেপ্তার মতিউর ও স্ত্রী-সন্তান‌দের সম্প‌দের হিসাব চেয়ে নো‌টিস শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে বহু গ্রাম প্লাবিত আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক রোহিঙ্গাদের জন্য ১.৫ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছে ফ্রান্স অবশেষে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের তথ্য জানালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় কাজ করবে যৌথ টাস্কফোর্স কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

জিও ব্যাগ ফেলেও থামানো যাচ্ছে না বলেশ্বর নদীর ভাঙন

পিরোজপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার ঘাট এলাকার বলেশ্বর নদীতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ ব্লক দিয়ে স্থায়ীকরণ করার জন্য খরচ হবে ৪৭ কোটি টাকা। যা পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা আছে। বর্তমানে ৩০০-৫০০ মিটার জায়গা জুড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে আনুমানিক ৮৫ লাখ টাকা।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে নদী ভাঙন দেখা দেয়। বিভিন্ন সময়ে জলোচ্ছ্বাসের কারণে বেড়িবাঁধগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় ইতোপূর্বে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না। ভাঙনে ফলে মাছুয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে।

মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই এলাকাটি আগে অনেক বড় ছিল। নদী ভাঙনে কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।’

একই গ্রামের অতুল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বেড়িবাঁধ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ছিল। নদী ভাঙনে সব বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে ভাঙন সৃষ্টি হয়। কয়েক জায়গা থেকে জিও ব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হলে হয়তো ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো।’

পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যার আগে বেড়িবাঁধগুলো পুনঃনির্মাণ করতে হবে। মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। ব্লকের প্রজেক্ট দেওয়া আছে। বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com