বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত এমন একটি শহরের নাম যদি আপনাকে বলতে বলা হয়, আপনি হয়তো মেলবোর্নের নাম বলবেন, মুম্বাই বা করাচীর নাম বলবেন।
কিন্তু জাপানের কাইযাকা শহরের নাম স্বপ্নেও আপনার মনে আসবে না। কিন্তু সম্প্রতি রাজধানী টোকিও থেকে ৫০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমের এই শহরটির নামকরণ করা হয়েছে সিটি অব ক্রিকেট বা ক্রিকেটের শহর।
জাপানে প্রথম ক্রিকেট খেলা হয়েছিল ১৮৬৩ সালের জুন মাসে। তারপর পুরো বিংশ শতাব্দী ধরে বিভিন্ন শহরে বিচ্ছিন্নভাবে ক্রিকেট খেলা হয়েছে, তবে খেলতো মূলত জাপানে বসবাসরত বিদেশীরা।
তবে হালে জাপানে ক্রিকেট প্রসারের চেষ্টা হচ্ছে। এবং কাইযাকার মত শহরকে সিটি অব ক্রিকেট বা ক্রিকেটের শহর হিসাবে খেতাব দেওয়া হয়েছে।
জাপানি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী নাকি মিয়াচি অবশ্য বিবিসিকে বলেন, সিটি অব ক্রিকেট খেতাবের প্রধান একটি তাড়না অবশ্য বাণিজ্যিক। জাপানে অনেক ছোটো ছোটো শহরে জনসংখ্যা কমছে, ব্যবসা বাণিজ্য কমছে এবং সেই সাথে কর কমছে। ফলে তারা এমন কিছু চাইছে যাতে বাইরে থেকে পর্যটক এসব শহরে আসে।
এর আগে সানো নামে একটি শহরকে ক্রিকেটের শহর বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেখানে ক্রিকেট টুর্নামেন্টর আয়োজন করা হয়েছে এবং বেশ ভালো ফল পাওয়া গেছে। সেটা শুনে কাইযাকা শহরের ডেপুটি মেয়র তার শহরকে আকর্ষণীয় করতে ক্রিকেটের শহর খেতাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ।
তবে জাপানের বিভিন্ন শহরে ক্রিকেট প্রসারের চেষ্টা চলছে। ফল কী হচ্ছে?
মি মিয়াচি বলেন – স্কুলে স্কুলে ক্রিকেট শেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের সময় ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে অনেকে ইংরেজি শেখার জন্যও আকর্ষিত হচ্ছে। অনেকে এমনকী বেজবল ছেড়ে ক্রিকেটে আগ্রহী হয়ে পড়ছে।
আইসিসির অনেক সহযোগী দেশে যে ক্রিকেট এখন খেলা হয় সেখানে খেলেন মূলত বিদেশীরা। জাপানের অনুপাত কি?
মি মিয়াচি স্বীকার করেন, জাপানে ক্রিকেট যারা খেলছেন তাদের অনেকেই বিদেশী। “তবে কানো সহ অন্যান্য শহরে ক্রিকেট প্রসারের যে চেষ্টা হচ্ছে, তাতে জাপানি শিশু কিশোররা যোগ দিচেছ। ওসাকা শহরে বেশ কিছু স্কুল তাদের ক্রিকেট টিমও করেছে।
তিনি জানান, জাপানের জাতীয় ক্রিকেট দলের অর্ধেক সদস্য স্কুলে ক্রিকেট থেকে আসা, এবং এদের সিংহভাগই জাপানি।
এমনিতেই জাপানীরা বেসবলে আসক্ত। বলতে গেলে সেটাও বল ও ব্যাটেরই খেলা, যদিও সেই ব্যাটের আকৃতি ভিন্ন। সুতরাং চাইলে জাপানীদের জন্য ক্রিকেটে ঢোকা কঠিণ কিছু হবেনা।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি বাংলা/এসএস