জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় তার জানাজা। এ সময় জানাজায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারাসহ পরিবারের সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন।
জানাজার আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, গতকাল যখন আমরা রুহুল আমিন গাজী ভাইয়ের স্মরণসভায় ছিলাম, আমরা তখন তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি, এত অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।
এত কর্তব্যনিষ্ঠ, অমায়িক, বন্ধুবৎসল, দায়িত্বশীল তরুণ সাংবাদিককে আমরা হারিয়েছি। তার মৃত্যুর বয়সও হয়নি। সুতরাং আমাদের মধ্যে তার স্মৃতি জাগরূক থাকবে। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্ত খোকন এনটিভি পরিবারের সদস্য ছিলেন। আমরা আমাদের এনটিভি পরিবারের সদস্য হারিয়েছি। উনি আর ফিরে আসবেন না। তবুও বলতে হয় সীমান্ত খোকন সবসময়ই এনটিভিতে থাকবেন; আমাদের মাঝেই থাকবেন।
জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সীমান্ত খোকনের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সীমান্ত খোকনের মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।
সীমান্ত খোকনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি পরিবার নিয়ে চামেলীবাগে থাকতেন।
সীমান্ত খোকন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন। ছিলেন কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। একসময় বিনোদন সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ