শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

চিকিৎসকরা কি রোগীদের প্রয়োজনের বেশি ওষুধ দিচ্ছেন?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ঢাকার একজন সাংবাদিক জাহিদ সোহাগ । বেশ কয়েক বছর আগে পিঠে ব্যথার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে ছয়টি ঔষধ দেন একজন ডাক্তার ।

এরপর আরও একজন ডাক্তার আরও এগারোটি ঔষধ যোগ করলে মোট সতেরটি ঔষধ খেতে হয় মি. সোহাগকে । প্রায় দুই মাস এই ঔষধগুলো খাওয়ার পরের কোন উন্নতি হচ্ছিল না।
শেষ পর্যন্ত দেশের বাইরে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে তিনি সবগুলো ঔষধ বাদ দিয়ে শুধু একটি ঔষধ খেতে বলেন । মি. সোহাগ বলছিলেন তার আগে এত বেশি ঔষধ প্রয়োগে তিনি মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ।

“আপনি যখন দীর্ঘ সময় ঔষধ খাবেন এবং রোগের নিরাময় না ঘটবে তখন একধরনের ডিপ্রেশন কাজ করে, আমি হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়লাম । আমি হয়তো আর সুস্থ জীবনে ফিরছি না এরকম একটা আশংকা মনের ভিতর তৈরি হয়” ।

মি. সোহাগের মতো এধরনের অজস্র উদাহরণ রয়েছে বাংলাদেশে । চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়ে রোগীদের অপ্রয়োজনীয় এবং দামী ঔষধ দেবার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, অনেক সময় কম খরচে রোগ নিরাময়ের উপায় থাকলেও রোগীদের উপর বাড়তি খরচ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ল্যানসেট জার্নালে যে গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, বাংলাদেশেও সে চিত্র ব্যতিক্রম নয় ।

অভিযোগ রয়েছে ডাক্তাররা তাদের প্রেসক্রিপশনে দামী ঔষধ যেমন লিখছেন তেমনি বেশি ঔষধও লিখছেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক মনে করেন, ঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় করতে না পারার কারণে ডাক্তাররা ঔষধের প্রয়োগ করেন বেশি ।
তাছাড়া দামী ঔষধ হলেই যে তার মান ভালো হবে সেটিও মনে করেন না মি. ফারুক ।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়ে রোগীদের অপ্রয়োজনীয় এবং দামী ঔষধ দেবার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়ে রোগীদের অপ্রয়োজনীয় এবং দামী ঔষধ দেবার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমি বেশি দামের উন্নত মানের কাঁচামাল ব্যবহার করি তাহলে আমার কিছুটা খরচ অবশ্যই বেশি পড়বে । আর যে কিছুই মানে না তার দাম একটু কম হবে এটা স্বাভাবিক তবে সবসময় যে বেশি দামের ওষুধ বেশি মানসম্পন্ন এটি নাও হতে পারে । এমনও হতে পারে যে একটি কোম্পানি ফাঁকি দিয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে । এবং এটি দেখার দায়িত্ব হবে

ঐ দেশের সরকারী যে অফিস যারা এগুলো দেখার দায়িত্বে আছেন তাদের।”

ঔষধের বেশি প্রয়োগের বিষয়টিতে ডাক্তারদের সবসময় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় । অনেক ডাক্তার বেশি ঔষধ দেওয়ার বিষয়টিকে অস্বীকার করেন । কিন্তু অনেকে আবার এই ধরনের প্রবণতার সমালোচনাও করেন ।

ডাক্তারদের মধ্যেই কেউ কেউ বলছেন – বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি দামী ঔষধ এবং বেশি ঔষধ লেখার জন্য অনেক ডাক্তারকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে ।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার রশিদ-ই -মাহবুব বলছেন, ঔষধের যে অপব্যবহার হয় সেটি অস্বীকার করার কোন উপাই নেই ।

অধ্যাপক মাহবুব বলেন, “প্রথম কথা হচ্ছে, কতগুলো রোগ আছে যেগুলোর জন্য সারা জীবনই ওষুধ খেতে হবে । যেমন আজকে ডায়াবেটিস কথা বলেন, হাইপার টেনশনের (প্রেশার) কথা বলেন তারপরে ক্যান্সারের কথা বলেন এগুলি কিন্তু সারা জীবনই খেতে হয় । কিন্তু বেশিরভাগই যেটা অ্যাবিউজড (অপব্যবহার) হয় সেটা হচ্ছে ভিটামিন এবং এন্টিবায়োটিক । একটা এন্টিবায়োটিক দিয়ে অনেক সময় অনেক চিকিৎসক ঠিক এনশিওর করতে পারে না। তখন তারা কয়েকটা এন্টিবায়োটিক লিখে দেয় । এটাই কিন্তু বেশি ওষুধের প্রবণতা তৈরি করে।”
বিশ্লেষকেরা বলছেন , রোগ নির্ণয় ব্যবস্থা নির্ভুল হলে বেশি ঔষধ প্রয়োগের প্রবণতা হয়তো কমে আসবে ।

তবে একই সাথে যেসব ডাক্তার বেশি ঔষধ প্রয়োগ করেন তাদেরও সচেতনতার পরিচয় দেওয়া দরকার বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন ।

বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com