বাংলা৭১নিউজ,(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহরে লকডাউন মানছেন না কেউ হাটে-বাজারে লোকারণ্য। উপজেলায় ২জন করোনা রোগী শনাক্তের পর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণার পরও সব কিছুই চলছে স্বাভাবিক। করোনাভাইরাস সচেতনতায় কেউই মানছেন না শারীরিক দূরত্ব।
ঘর থেকে বের হয়ে ব্যাপক মানুষের সমাগম হচ্ছে হাটবাজারে। বিভিন্ন অলিগলিতে চলছে আড্ডাবাজি। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোতে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। প্রশাসনের যথেষ্ঠ তদারকির পরও মানুষের সচেতনতার অভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকতেখারুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন এবং থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে। আইন না মানায় হাট ইজারদার, ব্যবসায়ী ও পথচারীদের জরিমানা করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা শহরসহ গ্রামগঞ্জে নিয়মিত টহল চালিয়ে যাচ্ছেন। চালাচ্ছেন নানা প্রচার-প্রচারণা। অথচ সচেতন না হয়ে আইন অমান্য করে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে অবাধে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। বিনাপ্রয়োজনে বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে এসে ভিড় করছেন সবাই।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু পুলিশ সদস্য ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবু আমরা মানুষের সুরক্ষায় রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু সাধারণ মানুষ খুব অসচেতন। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সব চেষ্টাই বৃথা যাবে।
সহকারী কমিশার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, বড় বিপদের মধ্যে দিন পার করছি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একনাগারে রাস্তায় রাস্তায় কাটাচ্ছি। জরিমানা করছি। বিভিন্ন শাস্তি দিচ্ছি। তবু মানুষ সচেতন নয়। বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে অনেকে।
বাংলা৭১নিউজ/এফএ