সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ব্যর্থতা: নেপালের বিপক্ষে নড়বড়ে পুঁজি টাইগারদের ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির কোরবানির গরু ছিটকে নদীতে, আনতে গিয়ে ডুবে প্রাণ গেলো কৃষকের সীতাকুণ্ডে গঙ্গাস্নানে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু শেষ দিনে গরু কিনতে ক্রেতাদের ঢল, দামও বেশি ব্যবসায়ীর চুরি যাওয়া ৪৬ লাখ টাকা উদ্ধার করল পুলিশ সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল রাস্তার ওপর তিস্তার পানি, যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সিকিম-কালিম্পং বরিশালের সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা ইসরায়েলের সেন্টমার্টিন নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন: কাদের ৬ ঘণ্টায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত ডিএনসিসি এক রাতের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বাড়লো ১২০ টাকা মক্কায় হিটস্ট্রোকে ৬ হজযাত্রীর মৃত্যু মিয়ানমারের আগ্রাসী জান্তার সামনে আ.লীগ সরকার নির্বিকার : রিজভী আসুন ত্যাগের মহিমায় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি : প্রধানমন্ত্রী শেষ সময়েও চাহিদায় ‘ছোট গরু’, বড় গরুর পাইকার বললেন ‘টেনশনে আছি’

চলছে অসহনীয় লোডশেডিং

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১৬
  • ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: পবিত্র রমজানেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে অসহনীয় লোডশেডিং। ঢাকাতেও বিদ্যুতের আসা-যাওয়া থেমে নেই। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য।

বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানীগুলোর আশঙ্কা রমজানে বিদ্যুৎ নিয়ে এই দুর্ভোগ চলতে থাকলে যে কোনো সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলোতে হামলা হতে পারে। বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্যানুযায়ী, দেশে গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট, আর উৎপাদন হচ্ছে ৮ হাজার ৩ মেগাওয়াটের মতো। এ হিসাবে লোডশেডিং হয় মাত্র ২শ’ মেগাওয়াট।

কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে, বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি। ফলে উৎপাদনের সাথে চাহিদার ঘাটতি রয়েছে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট। দেশে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) গ্রাহকদের। জানা যায়, আরইবি’র চাহিদা রয়েছে প্রায় সাড়ে হাজার মেগাওয়াট। কিন্ত কখনোই গড়ে ২ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াটের ওপরে তারা বিদ্যুৎ পায় না। এতে করে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের আশ্রয় নিতে হয়।

জেলা শহরগুলোর অধিকাংশই আরইবি’র আওতাভুক্ত। জানা যায়Ñবগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগজ্ঞ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, নিলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের প্রতিটি এলাকাতেই চলছে লোডশেডিং।

রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মগবাজার, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মহাখালী, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, মুগদা, কমলাপুর, বাসাবো, খিলগাও, মানিকনগর, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, সাঈদাবাদ, লালবাগ, কোতয়ালীসহ বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় রমজানে ইফতার ও সেহেরির সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।

এ ধরনের ভোগান্তির কবলে সবচেয়ে বেশি পড়তে হচ্ছে জেলা শহরগুলোর গ্রাহকদের। এতে করে দেশের বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা বিদ্যুৎ ভোগান্তির মধ্যেই ইফতার ও সেহেরি খাচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিতরণকারী অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পিডিবি, ডিপিডিসি ও ডেসকোও চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ পায় না। এতে করে এসব এলাকার গ্রাহকদেরকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে যে, পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে যে কোন সময় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো আক্রান্ত হতে পারে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর এমন আশঙ্কার কথা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে লিখিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

এদিকে আরইবি সূত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি আরইবি সারাদেশের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, জেনারেল ম্যানেজার, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য ১৮টি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য চিঠি দিয়েছে। একই সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মালামাল, স্থাপনাসহ সব বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশের জনপ্রতিনিধিদের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে আরইবি সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংস্থার প্রতিটি স্থাপনাকে কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন বা অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিবেচনা করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

তাছাড়া আরইবির সদর দফতরসহ জোনাল অফিস, পণ্যাগারসহ সব স্থাপনাতে নিরাপত্তা ক্যামেরা বা সিসি টিভি স্থাপন, রেকর্ডিং করা, জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থাপনায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, প্রয়োজনে অতিরিক্ত আনসার ও প্রহরী নিয়োগ, রাতে নিরাপত্তা টহল দেয়া ও নিরাপত্তা প্রহরীদের কাজ মনিটরিং, সব স্থাপনার প্রধান ফটকে রেজিস্টার খাতা রাখা, সব স্থাপনাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা, প্রতিদিনের নিরাপত্তা প্রতিবেদন তৈরি করে পরদিন সকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ইমেইলের মাধ্যমে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রমজানে বিদ্যুৎ নিয়ে যাতে ভোগান্তি না হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া আছে। এরপরও বাস্তবতা হচ্ছে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি অতীতের তুলনায় অনেক ভালো বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাই জোরদার করা আছে।

বাংলা৭১নিউজ/সৌজন্যেে:ইনকিলাব

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com