চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের পর দুটি হলে অভিযান চালানো হয়েছে। বড় সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযান চালায়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলে এ অভিযান চালানো হয়।
এতে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ছোট বড় দেশীয় অস্ত্র। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে রামদা, লোহার পাইপ, গুলতি, বটি, রডের পাইপ, ছুরি ও কাচের বোতল।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতি বিভাগের র্যাগ ডে উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা প্রবেশ করতে চাইলে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা তাদের বাধা দেন। এসময় দু’পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয় ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রব হলের ঝুপড়িতে বিজয়ের এক কর্মীকে মারধরের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী হল ও শাহ আমানত হলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পরে রাত ৯ টা ২০ মিনিটের দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছলে বিজয়ের নেতাকর্মীরা শাটলে থাকা সিএফসির কর্মী অনিক হোসেন রিফাতকে মারধর করলে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ১০-১৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় অনেক ছাত্রলীগকর্মীর হাতে রামদা ও ছুরি দেখা যায়। এতে আহত হয়েছেন ৩ জন।
তবে সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা একে অপরকে দোষারোপ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, দু’দিনের মারামারির ঘটনায় আমরা রাতে দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালাই। এ সময় বিছানার নিচ থেকে বেশ কিছু ধারাল রামদা, কিরিচ, বটি ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ