চলতি বছরই ট্রেনে যাওয়া যাবে কক্সবাজারে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ এরই মধ্যে পুরোপুরি দৃশ্যমান। পাশাপাশি দেশের একমাত্র পর্যটকবান্ধব আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণ কাজও ৭৫ শতাংশ শেষ। আর পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৬ শতাংশ।
আইকনিক এই রেলস্টেশনটি হচ্ছে ঝিনুকের আদলে। আসলে শুধু স্টেশন নয়, এটি পরিপূর্ণ একটি কমপ্লেক্স। কী নেই সেখানে? থাকার হোটেল, লকার, মার্কেট, রেস্টুরেন্ট— সবই আছে। স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রায় শেষ।
স্টেশনের মতো শেষের পথে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইনের কাজও। ১০০ কিলোমিটারের লাইনের ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ। দ্রুতই দৃশ্যমান হবে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেললাইন। ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পে বাস্তবায়নের নেতৃত্বে চায়না সিভিল ইন্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আগামী দুই মাসের মধ্যেই কাজ শেষের পরিকল্পনা তাদের।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক চ্যাং ঈয়োঙ্গি বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষে আমরা কাজ শেষ করতে চাই। খরচের চেয়ে তাই সময়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আগামী জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও এ বছরেই চালু হবে স্বপ্নের রেললাইন।
আসলে একজন পর্যটককে হোটেলে থাকতে অনেক খরচ হয়। কেউ চাইলে এখানে লকারে ব্যাগ রেখে সাশ্রয়ে সারাদিন ঘুরে রাতে ফেরত যেতে পারবে। মোট কথা এই স্টেশনে ঢুকলে আর বাইরে না বের হলেও চলবে।
চীনাদের সাথে এ প্রকল্পে কাজ করছেন এ দেশের শতাধিক প্রকৌশলী। ১০০ কিলোমিটার রেললাইন ছাড়াও দোহাজারী থেকে কক্সবাজার প্রধান স্টেশন পর্যন্ত আবাসিক সুবিধাসহ ৯টি স্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
এ বছরেই ট্রেন চলবে কক্সবাজারে সেই পরিকল্পনায় প্রকল্পের ৮৬ ভাগ কাজ শেষ। জনবল নিয়োগের কাজও প্রক্রিয়াধীন। চ্যালেঞ্জ হলো— তিনটি রিজার্ভ ফরেস্ট পারাপার, যেগুলো হাতিসহ নানা বন্যপ্রাণীর সংরক্ষিত অঞ্চল।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, পরিবেশের দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। হাতির জন্য ওভারপাস করেছি, যেটি পৃথিবীর কোথাও নেই, কোনো রেলওয়েতে নেই। এই প্রথম বাংলাদেশ করেছে। এজন্য এডিবি ও পরিবেশবাদীরা বিভিন্ন জায়গায় এটি প্রচার করছে। আর যাত্রীরা নেমেই যেন বুঝতে পারে কক্সবাজারে এসেছেন, তাই স্টেশনটি ঝিনুকের আদলে করা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পনা দারুণ। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সফল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার তাগিদ তাদের।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে