সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কলরেকর্ড ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবার কি ভাইজানের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন কঙ্গনা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবিতে জবির প্রধান গেটে তালা চট্টগ্রামে ডাকাতি-মাদকসহ ১৫ মামলার আসামি গ্রেপ্তার ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত বাড়িতে ঢুকে উল্টে গেলো ট্রাক, ঘুমন্ত নারী নিহত ট্রেন লাইনচ্যুত, রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে দৈনিক সাশ্রয় ৫২ লাখ টাকা জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবার আলোচনায় টিউলিপের পারিবারিক বন্ধু সালমানপুত্র শায়ান কাফরুল থানায় করা হত্যা মামলায় কারাগারে কামাল মজুমদার বিধ্বস্ত রিয়াল, সুপার কাপ বার্সার ঘরে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আবারও ক্যাডেট এসআইদের অবস্থান কর্মসূচি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ৮ দলের স্কোয়াড ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ খালেদা জিয়াকে নিয়ে সুখবর দিলেন তার সফরসঙ্গী গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের তালিকা প্রকাশসহ ৯ দাবি শেখ পরিবারের ছয় সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঘোষক নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার শুনলে কবরেও লজ্জা পেতেন জিয়া

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার কবরে শুয়ে শুনতে পেলে জিয়াউর রহমান নিজেই লজ্জা পেতেন। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কটা শুরু হয় মূলত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর। নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এমন দাবি জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো করেননি। কিন্তু বিএনপি যেভাবে বলে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, আমার মনে হয় কবরের মধ্যে যদি জিয়াউর রহমান এমন মিথ্যাচার যদি শুনতে পেতেন তাহলে লজ্জা পেতেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির উদ্যোগে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্যানেল আলোচকের বক্তব্য এসব কথা বলেন।

এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভির অনিন্দ্য প্যানেল আলোচকদের কাছে প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ান। এ বিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ আছে কিনা?

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ছাড়াও প্যানেল আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাপদক মফিজুর রহমান প্রমূখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা আর ঘোষণা দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন সে ঘোষণা বহুজন পাঠ করেছেন। বেতারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ (২৬ মার্চ) করেন তৎকালীন অবিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। এরপর চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন সেনাবাহিনীর অফিসার দিয়ে পাঠ করানোর। তখন জিয়াউর রহমানকে দিয়ে পাঠ (২৭ মার্চ) করানো হয়।

তিনি বলেন, এ ছাড়া ২৬ মার্চ নিজের জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী নূরুল হক শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। নূরুল হকের মতো আরো অনেক মানুষ সারাদেশে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তখন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা এই বিতর্ক তৈরি করেছে তারা ইতিহাস বিকৃত করতে চায়। তবে মানুষ এখন প্রকৃত ইতিহাস জেনে গেছে। এরপর কেউ কেউ উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় পাঠচক্র করে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানানোর জন্য ছাত্রলীগ উদ্যোগ নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌল্লাহ বাঙালি ছিলেন না। তার অন্দর মহলের ভাষা ছিল ফার্সি ও উর্দু। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন বাঙালি জাতির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাঙালিদের শাসন করার অধিকার পায় বাঙালি। এর আগে কখনো নিজেকে নিজে শাসন করার অধিকার পায়নি বাঙালি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসাধারণ নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাঙালির পরিচয় বদলে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দল চারবার ক্ষমতায় এসেছে। উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে তিনি দেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে আবারো পেছনে নিয়ে যাবার জন্য অনেক চক্রান্ত হয়েছে। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ তারা দুজনে মুদ্রার এপিট-ওপিট। তারা দুজনেই ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে। এরশাদ দেশের কিছু উন্নয়ন করলেও তাদের মন ছিল অন্যদিকে। বাংলাদেশকে সব সময় সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এখনো ধরে রেখেছেন সেই নেতৃত্ব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করেছেন আওয়ামী লীগকে। আমাদের সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশ, সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে সোনার বাংলা বিনির্মাণে আওয়ামী লীগের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ছাত্রছাত্রী এবং তরুণ পেশাজীবীরা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কীভাবে দেখতে চান, সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন। মঞ্চ থেকে প্যানেল বক্তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে নানা বিষয়ের প্রশ্নের জবাব দেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসআই

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com