শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি উসমান খানের ডাকসু নিয়ে আমরা অনেক আগ্রহী : ঢাবি উপাচার্য শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে সরকারের বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা আমাদের ঐক্যের যুদ্ধে ব্যর্থতা রয়েছে: মির্জা ফখরুল ভারতের চক্রান্তে প্রতিবেশী দেশে একের পর এক গুপ্তহত্যা তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ বৃথা হতে দেওয়া যাবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তার নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ চলছে: উপদেষ্টা বিদেশে বন্ধু চাই, প্রভু নয়: জামায়াত আমির রাজধানীতে ‘হট্টগোল শিশু উৎসব’ শুরু ৩ হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি তুরস্কের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্তদের জন্য ৭ লাখ কম্বল সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে তথ্য উপদেষ্টার চিঠি মসজিদুল আকসার ইমাম ১০ দিনের সফরে বাংলাদেশে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল রাজশাহী বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ২১

ঘরবাড়িছাড়া হতে পারে ৪৫ হাজার মানুষ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:  আগামী বছরের মধ্যে দেশের ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর বা ৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারাতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভাঙনের মুখে পড়তে পারে পদ্মাপারের মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নদীতীরবর্তী এলাকা।

সরকারের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) পূর্বাভাসে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে সিইজিআইএস দেশের নদী বিশেষজ্ঞ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের সামনে এবারের পূর্বাভাসটি তুলে ধরে। তবে এবারের পূর্বাভাসের আরেকটি দিক হলো, দেশে ধারাবাহিকভাবে নদীর ভাঙন কমে আসছে।

মূলত মে থেকে নদীভাঙন শুরু হয় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। গত বছর শরীয়তপুরের নড়িয়ার প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বসতভিটাসহ অনেক অবকাঠামো নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এই ঘটনা তখন সারা দেশে আলোচিত হয়েছিল। সিইজিআইএস নড়িয়ার ভাঙনের পূর্বাভাস দিলেও পাউবো ওই এলাকা রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অবশ্য এ বছর পাউবো নড়িয়ায় পদ্মাতীরে জিওব্যাগ ফেলা, উল্টো পাড়ে জেগে ওঠা চর ও নদী খননের কাজ করছে। এর ফলে ওই এলাকায় এবার ভাঙন না হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পাউবোর কর্মকর্তারা মনে করছেন।

ভূ-উপগ্রহের ছবি, ভাঙনপ্রবণ এলাকার মাটির ধরন পরীক্ষা ও মাঠপর্যায়ের গবেষণার ভিত্তিতে সিইজিআইএস নদীভাঙনের পূর্বাভাস দেয়। ২০০৪ সাল থেকে সংস্থাটি এই পূর্বাভাস দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত পূর্বাভাসের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সঠিক হয়েছে। ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে তা রক্ষায় যাতে সরকার উদ্যোগ নেয়, সে লক্ষ্যেই পূর্বাভাসটি দেওয়া হয়। এর আগে এক বছরের জন্য পূর্বাভাসটি দেওয়া হতো। এবারই প্রথম দুই বছরের জন্য পূর্বাভাসটি দেওয়া হলো। সিইজিআইএসের উপনির্বাহী পরিচালক মমিনুল হক সরকারের নেতৃত্বে পূর্বাভাস পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বর্তমানে ভারত, নেপালসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পদ্ধতিটি অনুসরণ করে নদীভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।

এবারের পূর্বাভাসটি সম্পর্কে মমিনুল হক সরকার  বলেন, ‘দেশে ধারাবাহিকভাবে নদীভাঙন কমছে। এর দুটি কারণ রয়েছে, প্রথমত, প্রাকৃতিকভাবে কোনো একটি এলাকার মাটির গঠন নতুন হলে তা ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যে বেশি থাকে। মাটি শক্ত ও পরিণত হলে তা কম ভাঙে। দ্বিতীয়ত, ভাঙনরোধে অবকাঠামো তৈরি করলেও ভাঙন কমে। এই দুটি কারণে আমাদের এখানে নদীভাঙন কমে আসছে। ভাঙন এলাকার স্থানীয়দের ক্ষতি কমাতে উদ্যোগ নিতে হবে।’

মূলত পদ্মা, যমুনা ও গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভাঙনের পূর্বাভাস দিয়েছে সিইজিআইএস। দেশের অন্যান্য শাখা ও ছোট নদীর ভাঙনের পূর্বাভাস এতে নেই। তবে সংস্থাটি আগামী বছর থেকে ওই সব নদীর ভাঙনের পূর্বাভাসও দেবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াজি উল্লাহ।

সিইজিআইএসের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে প্রায় ১৭ লাখ ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সময়ে পদ্মা, যমুনা ও গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ৫৮১ বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি জেগে উঠেছে।

চলতি বছরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২৮ দশমিক ৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর (৫ দশমিক ৮৮ বর্গকিলোমিটার), টাঙ্গাইল (৩ দশমিক ৭৫ বর্গকিলোমিটার), শরীয়তপুর (৩ দশমিক ৫২ বর্গকিলোমিটার), রাজবাড়ী (৩ দশমিক ২৬ বর্গকিলোমিটার), কুড়িগ্রাম (২ দশমিক ৫৫ বর্গকিলোমিটার)। আর বাস্তুচ্যুত হতে পারে প্রায় ২৮ হাজার ৬০০ মানুষ।

নদীভাঙনের পূর্বাভাস উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত। পরে তিনি বলেন, ওই ভাঙনের পূর্বাভাসের একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তবে কোন এলাকার ভাঙনরোধে সরকার কত অর্থ ব্যয় করবে, এটা নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

কেননা, চাঁদপুর ও সিরাজগঞ্জের ভাঙনরোধে এ পর্যন্ত যত টাকা ব্যয় হয়েছে, তা দিয়ে ওই দুটি শহর কয়েকবার তৈরি করা যেত। তবে ভাঙনের কারণে সাধারণত গরিব মানুষের ক্ষতি বেশি হয়। তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসকে বি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com