বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

গহিন অরণ্যে দেখা মেলে হামহাম ঝরনার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

বন্ধুর পথ পেরিয়ে গহিন অরণ্যে দেখা মেলে হামহাম ঝরনার। প্রায় ১৬০ ফুট উঁচু পাহাড়ের ওপর থেকে অবিরাম পাথরের গায়ে পড়ছে হামহামের স্বচ্ছ পানির ধারা। নয়নাভিরাম এই দৃশ্য সহজেই দৃষ্টি কাড়ে পর্যটকদের। জলকন্যা হামহামের অবস্থান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কুরমা সীমান্তের গহিন অরণ্যে।

রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকার এই ঝরনাকে চিতা ঝরনাও বলা হয়। কমলগঞ্জের একেবারে শেষ গ্রামের নাম কলাবনপাড়া, যেটি তৈলংবাড়ী নামেও পরিচিত। বলতে গেলে এরপর তেমন কোনো জনবসতি নেই। এখান থেকেই শুরু হয় হামহাম যাওয়ার মূল অভিযান। যাওয়ার জন্য বনের ভেতর দুটি পথ আছে।

বনের শুরুতেই হাতের ডান ও বাঁ দিকে পাশাপাশি পথ দুটির অবস্থান। একটি যাওয়ার এবং অন্যটি ফিরে আসার। ডানের পথ দিয়ে ঢুকে বাঁ দিক দিয়ে বের হওয়াই ভালো। কারণ ডানের পথটা দীর্ঘ এবং অনেক উঁচু টিলা পার হতে হয়।

হামহাম যেতে গাইড নেওয়াই ভালো। কারণ প্রথমবার গেলে রাস্তা ভুল করার আশঙ্কা থাকে। ছড়া ও টিলা মিলিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার ট্রেইল পাড়ি দিয়ে দেখা মেলে হামহামের। এর আগে দুই চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড় থেকে ধোঁয়ার মতো ঘন কুয়াশার অপূর্ব দৃশ্য। মনে হবে, নয়নাভিরাম পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। হাঁটতে হাঁটতে একসময় ঝরনাধারার শব্দ পাওয়া যায়। কাছে যাওয়ামাত্র প্রাণচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। প্রশান্তিতে মন ভরে যায়।

ঢালু ও পিচ্ছিল পাহাড়ি পথ বেয়ে ওপরে ওঠা কষ্টকর হলেও তুলনামূলক সহজ। কারণ নিচে নেমে আসা বিপজ্জনক। খুব সতর্কতার সঙ্গে নামতে হয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর ফেরা যাবে কলাবনপাড়ায়। ভ্রমণপিপাসু মানুষ কমলগঞ্জ অথবা শ্রীমঙ্গল শহর থেকে যানবাহন ভাড়া করে ভোর ৬টার মধ্যেই হামহামের উদ্দেশে রওনা শুরু করে।

স্থানীয়রা বলেন, এই ঝরনায় পর্যটকদের যাতায়াতে সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে মৌলভীবাজার জেলা তথা বৃহত্তর সিলেট বিভাগের অন্যতম পর্যটন এলাকায় রূপান্তরিত হবে হামহাম।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com