তীব্র এই গরমে চলছে ঈদের আমেজ। রোজা না হয়ে কোরবানির ঈদ হওয়ায় খাওয়া-দাওয়াও জমে উঠেছে বেশ। কিন্তু বেসামাল খাওয়ার পর প্রায় সবারই শুরু হচ্ছে গরমের অস্বস্তি। বেড়ে যাচ্ছে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশিরা নিজেকে গরমে সামলে কীভাবে ঠান্ডা অনুভব করেন, সেসব তথ্য নিয়ে থাকছে আজকের এই বিশেষ আয়োজন।
প্রখর রোদের এই সময়টায় ঘামের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি বেড়ে যায় ঘামাচি হওয়ার মাত্রা। বেশি গরম অনুভব হওয়ায় আপনার বেড়ে যেতে পারে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিও। তাই আসুন জেনে নিই বিদেশি কিছু সহজ টিপস, যার মাধ্যমে আপনি গরমকে জয় করতে পারবেন অতি সহজেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশিরা গরম আবহাওয়ায় ঘরের বৈদ্যুতিক সামগ্রী যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করে। কারণ, গরমে ঘরে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বেশি চালু থাকলে তা ঘরকে আরও গরম করে তোলে।
গরম থেকে বাঁচার আরেকটি অদ্ভূত উপায় অবলম্বন করে বিদেশিরা। আর তা হলো এরা গরম থেকে বাঁচতে মাঝেমধ্যেই কবজি চেটে নেন। কি, শুনতে অবাক লাগছে?
তবে এতে কিন্তু সত্যি শরীর ঠান্ডা হয়। এর আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও। আমাদের কবজির যেখানে পালস পাওয়া যায়, সেই জায়গাটির কাছেই রয়েছে অনেক শিরা। সেখানে ঠান্ডা ভাব তৈরি হলে গোটা শরীর ঠান্ডা হয় এক নিমেষেই। তাই বিদেশি এই স্টাইলটি যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আপনি গরম থেকে বাঁচতে কবজি পর্যন্ত হাত ধুয়ে নিতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন ঠান্ডা পানিও।
গরম থেকে বাঁচতে বিদেশিরা কখনো রোদে সানস্ক্রিন লোশন ত্বকে ব্যবহার না করে বের হন না। চোখের যত্নে ব্যবহার করেন রোদচশমাও।
পোশাকে প্রাধান্য দেন ঢিলেঢালা ভাব। তবে গরম থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে তারা সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তা হলো পর্যাপ্ত পাানি পান করা। পানি আছে এমন ফল বেশি বেশি খেয়েও বিদেশিরা এ সময় শরীর ঠান্ডা রাখে আর সেই সঙ্গে ত্বকও রাখে সুস্থ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি