সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাকরির বয়স ৩৫ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল যমুনায় অটোমেটেড সেবা প্রতিরোধ করবে অপচয় ও দুর্নীতি : অর্থ উপদেষ্টা নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ১৯২ মৃত্যু, উদ্ধারে হিমশিম আমরা প্রস্তুত, দীর্ঘ যুদ্ধেও বিজয়ী হবো: হিজবুল্লাহর উপপ্রধান এবি ব্যাংকের বন্ড ইস্যু পুনর্বিবেচনার আবেদন তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার ৯৯৯-এর রেসপন্স টাইম আরো কমিয়ে আনা হবে : আইজিপি প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারে কমিটি, নেতৃত্বে ইমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর হাসিনার পতনের পর গ্রামীণফোনের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ শতাংশের বেশি স্বামীসহ গ্রেফতার সাবেক এমপি হেনরি যুবদল নেতা হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সুলতান মনসুর মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণির পর ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সুপারিশমালা দেবে বিএনপি সেপ্টেম্বরে নির্যাতনের শিকার ১৮৬ নারী-কন্যাশিশু জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলায় মামলা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি: পর্যালোচনা কমিটি গঠন ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল: ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে মাঝ রাতের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

খুলনা-মংলা মহাসড়ক: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলে বেচা-কেনা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯
  • ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,মনিরুল ইসলাম দুলু: খুলনা-মংলা মহাসড়কের পাশে প্রায় ৪০ বছর ধরে চলছে দিগরাজ বাজার, ভাগা ও গুনাই বাজার । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসীকে বাজারে আসতে হচ্ছে বাজারের জন্যে। প্রায় নিয়মিত ছোট-খাটো দূর্ঘটনা ঘটলেও ২০০৮ সালে ভাগা বাজারের রাস্তার পাশে ট্রাক উঠে গিয়ে মর্মান্তিক এক দূর্ঘটনা ঘটে। প্রাণহানি ঘটে চারজনের আর আহত হন ১১জন।

এরকরম ঝুঁকিপূর্ন স্থানে বাজার থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেই জনপ্রতিনিধিদের। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা যে কোন মুহুর্তে আবারো বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা প্রকাশ করে দাবি করেছেন, মহাসড়কের পাশ থেকে নিরাপদ স্থানে বাজার স্থানান্তরের জন্যে।

এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে জানা যায়, বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরাজ বাজার ও রামপাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাগা ও গুনাই বাজার ১৯৮০-৮১ সাল থেকে খুলনা- মংলা মহাসড়কের পাশে বসছে। ভাগা বাজার সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও মঙ্গল, গুনাই বাজার সোম ও শুক্র এবং দিগরাজ বাজার রোবি ও বৃহস্পতিবার বসে।

মহাসড়কের দুই পাশেই বাজার বসে। প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অন্য কোন বাজার না থাকায় বাজার সংশ্লিষ্ট চার-পাঁচ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার লোক সপ্তাহের বাজার করতে এই বাজারে আসে। গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ভাগা বাজার ও রোববার বিকেল ৫টায় দিগরাজ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশেই বাজার বসেছে। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবই বিক্রী হচ্ছে। ক্রেতারা রাস্তা পার হয়ে দুই পারেই গিয়ে সদাই কিনছেন। অনেকে সচেতন ভাবে রাস্তা পার হলেও অধিকাংশই রাস্তা পার হচ্ছেন বেখেয়ালে। বাজারের কাছে এসে সব ধরনের যানবাহনই গতি মন্থর করতে বাধ্য হচ্ছে। কোন কোন সময় গাড়ী একদম বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।

কাটাখালী গ্রাম থেকে আসা সব্জী ব্যবসায়ী রাকিবুল, তাহের, লিয়াকতসহ আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, মংলা বন্দর গতিশীল হওয়ায় খুলনা- মংলা মহাসড়ক এখন ব্যস্ততম সড়ক। প্রতিদিনই মংলা বন্দর ও মংলা ইপিজেডএর পণ্য বোঝাই অসংখ্য ট্রাক, লরী, বাস এ পথে যাতায়াত করে। এখানেই প্রায় ৪০ বছর ধরে বাজার মিলে আসছে। মহাসড়কের পাশে বলে সারাক্ষণই আমরা ঝুঁকির মুখে থাকি। না জানি কখন গাড়ি আমাদের গায়ের উপর উঠে বসে।

সড়কের পাশ থেকে নিরাপদ স্থানে বাজার কেন স্থানান্তর করা হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, কর্তৃপক্ষই তা ভাল বলতে পারবেন।

ভাগা বাজারে বাজার করতে আসা ভাগা গ্রামের স্কুল শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন ও দিগরাজ বাজারে বাজার করতে আসা একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সপ্তাহের বাজার করতে এলাকাবাসীকে এখানে আসতেই হয়। এরকম ব্যস্ত মহাসড়কের পাশে বাজার মানেই তো দুর্ঘটনার ঝুঁকি। শুধু ঝুঁকিই না ছোট-বড় দুর্ঘটনা তো প্রতিনিয়ত ঘটছেই। ২০০৮ সালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে বাজার নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তÍ তা এত বছরেও শুধু কথাই রয়ে গিয়েছে। কোন ফল হয় নি’।

খুলনা- মংলা বাস সার্ভিসের চালক সেলিম শেখ ও ট্রাক চালক সোহাগ শেখ বলেন, ‘দুই পাশের বাজারের দোকানগুলো প্রায়শই রাস্তার উপরে উঠে আসে। বাজার করতে আসা লোকজনের ভিড়ে গাড়ী চালানো যায় না। আমাদের খুব আতংকের মধ্যে গাড়ী চালাতে হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, মহাসড়কের পাশ থেকে বাজার নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করুন’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপাল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু ঝুঁকির কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সরকারি কিছু খাস জায়গা নির্ধারণ করে সরকারের কাছে সেখানে বাজার স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছি। তবে মংলা-খুলনা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সেটি শেষ হলেই বাজার মহাসড়কের পাশ থেকে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও ও সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি। দিগরাজ বাজার স্থানান্তরের জন্যে আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি জায়গার জন্যে আবেদন করেছিলাম। কিন্ত কোন সাড়া মেলেনি। এ স্থান থেকে বাজার স্থানান্তরও অত্যন্ত জরুরী।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোঃ রাহাত মান্নান জানান, দিগরাজ রাজারটি রোডস এন্ড হাইওযের জায়গাতে বসে এজন্য উপজেলা প্রশাসনের করনিও ক্ষমতা কম । তার পরেও জনগনের জনমালের কথা বিবেচনা করে পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

বাংলা৭১নিউজ/এএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com