বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন

খরস্রোতা ঢেপা নদী এখন ধু ধু বালুচর!

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

এটি বালুচর, রাস্তা কিংবা নিচু সমতল ভূমি নয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই জেগে উঠেছে খরস্রোতা ঢেপা নদীর বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের বালু চর। কান্তজিউ মন্দির এলাকার একটি সেতুর নিচে নদীর বেশিরভাগই বালু চরে পরিণত হয়েছে। আর যে অংশে পানি আছে তাও পরিমাণে কম। নাব্যতা হারিয়ে এ অবস্থা নদীর বিভিন্ন স্থানে। দিনাজপুরের কাহারোলসহ বিভিন্ন এলাকার উপর বয়ে যাওয়া খরস্রোতা ঢেপা নদী এখন ধু ধু বালুচর। 

কাহারোল উপজেলার সীমানাজুড়ে ঐতিহ্যবাহী ঢেপা নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এ জনপদটির বিকাশ ঘটেছে এই ঢেপা নদীকে কেন্দ্র করে। এই নদীর উপকন্ঠে অবস্থিত ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির। আছে কান্তজিউ যাদুঘর।

বলা যায় পর্যটন এলাকা। বর্ষার সময় নদীটি খরস্রোতা হলেও শুষ্ক মৌসুমে ঢেপা নদী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠে বালুচর। হারিয়েছে নদীর নাব্যতা। নদীর অনেক স্থানে কেউ কেউ বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষও করছে। আবার কেউ চারা বীজ করছে। 

সুকুমার রায়, মমিনুলসহ কয়েকজন জানান, ঢেপা আত্রাই নদী এখন যেন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এক সময় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো পাড়ের কয়েকশ জেলে পরিবার। নদীতে পানি নাই তাই জেলে পরিবারগুলোর পেশা পরিবর্তন করেছে।

উত্তাল নদীটি এখন শুধু বালুচর। তবে বর্ষার সময় নদী পানিতে ভরে যায়। কিন্তু খরা মৌসুম শুরু হতেই নদীটির বিভিন্ন স্থানে আবার পানি কমতে থাকে। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এ নদীর পানি অনেক স্থানে কমে চলে আসে হাটুর নিচে। এসময় এলাকার মানুষ অনেক স্থানে হেঁটেই পারাপার হয় নদী। 

তারা আরও জানায়, বর্ষা মওসুমেই নদীটির ভরা যৌবন থাকে। সে সময় ঢেপা নদীর তর্জন-গর্জনে নদী তীরবর্তী মানুষের বুকে কম্পনের সৃষ্টি করে। জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি আছে।

ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছের অফুরন্ত উৎস এই নদী। জীবিকার জন্য মাছের আশায় জেলেরা রাত-দিন ডিঙি নৌকায় জাল দড়ি নিয়ে চষে বেড়াতেন নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ধরা পড়তো প্রচুর মাছ। তবে এখন পানি কমে বালু চর হওয়ায় মাছ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com