নোয়াখালীতে বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনার পাঁচ বছর পর নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম। রবিবার (১৬অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালতের বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুদা মো. আলমকে বিভিন্ন মামলার আসামি বলে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওই রাতে থানার ওসি বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য দেন। তবে রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্য অস্ত্র উদ্ধারের নামে হুদা মো. আলমকে ক্রস ফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবার সে সময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে। তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ‘
পাঁচ বছর পর কেন মামলা করছেন জানতে চাইলে মামলার বাদী খুরশিদা বেগম জানান, এতোদিন ওই কর্মকর্তারা নোয়াখালীতে কর্মরত থাকায় মামলা করেননি। এখন তারা অন্যত্র বদলি হওয়ায় মামলা করছেন। ‘
মামলায় বাদি পক্ষে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. মাহফুজার রহমান ইলিয়াস ও সাইফুর রহমান প্রামানিক।
এ সময় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি অ্যাড. এ বি এম জাকারিয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ