শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি উসমান খানের ডাকসু নিয়ে আমরা অনেক আগ্রহী : ঢাবি উপাচার্য শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে সরকারের বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা আমাদের ঐক্যের যুদ্ধে ব্যর্থতা রয়েছে: মির্জা ফখরুল ভারতের চক্রান্তে প্রতিবেশী দেশে একের পর এক গুপ্তহত্যা তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ বৃথা হতে দেওয়া যাবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তার নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ চলছে: উপদেষ্টা বিদেশে বন্ধু চাই, প্রভু নয়: জামায়াত আমির রাজধানীতে ‘হট্টগোল শিশু উৎসব’ শুরু ৩ হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি তুরস্কের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্তদের জন্য ৭ লাখ কম্বল সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে তথ্য উপদেষ্টার চিঠি মসজিদুল আকসার ইমাম ১০ দিনের সফরে বাংলাদেশে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল রাজশাহী বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ২১

কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদসহ ৩২ ছাত্রের জামিন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১৮
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সালেহা বেগম তাঁর ছেলের বউ রাবেয়া খাতুনকে জড়িয়ে ধরে নির্বাক রইলেন। তখন দুজনের চোখ দিয়ে লোনা জল গড়িয়ে পড়ছিল। সালেহা দুহাত ওপরে তুলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন, ‘আমার বাবা জামিন পেয়েছে…। এবার বাবাকে নিয়েই বাড়ি ফিরব।’

সালেহা বেগম কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের মা। ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় আসেন। এর মধ্যে এক দিনের জন্যও বাড়ি যাননি। রাশেদের মতো কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ১৮ জন ছাত্র আজ সোমবার জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ১২ ছাত্রের জামিন দিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।

এর আগে রোববার ঢাকার আদালত থেকে জামিন পান আরও ৩২ জন ছাত্রসহ ৩৯ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের এসব মামলা হয়েছিল রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা থানায়।

রাশেদের মায়ের মতো সকালে আদালতে আসেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মশিউর রহমানের বাবা শফিকুল ইসলাম। পেশায় তিনি একজন রিকশাচালক। ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এক মাস হলো বাড়ি ফেরেননি। বড় ছেলের কাছেই থেকেছেন।

দুপুর ১২টার দিকে একবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের মামলার শুনানি হয়। তখন আদালত আইনজীবীকে বলেন, উচ্চ আদালতে যেহেতু জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে, সে কারণে তিনি শুনানি নিতে পারেন না। উচ্চ আদালত থেকে ওই আবেদন প্রত্যাহার করা হলে তিনি জামিন শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন। যখন রাশেদদের আইনজীবী আদালতের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন, জানতে পারেন জামিন হয়নি, তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন রাশেদের মা সালেহা বেগম।

রাশেদের মায়ের মতো কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক নেতা তারিকুলের বাবা শফিকুল ইসলামও কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলের মাকে এখন কী জানাব। সে খুব অসুস্থ। আমি বলে এসেছি, আজ তোমার ছেলের জামিন হবে।’ আর মশিউরের বাবা রিকশাচালক মজিবর মশিউরের মাকে ফোন করেন। বলেন, ‘তাসলিমা তোমার ছেলের জামিন হয়নি।…কেঁদে কোনো লাভ নেই।’

তবে এই দৃশ্যপট বিকেল চারটার দিকে বদলে যায়। কারণ এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাশেদদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতকে জানান, উচ্চ আদালতে করা জামিনের সেই আবেদন প্রত্যাহার করে এনেছেন। যাঁদের গ্রেপ্তার হয়েছে, সবাই ছাত্র। এক মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন তাঁরা। আদালত শুনানি নিয়ে রাশেদদের জামিন দেন ঢাকার মহানগর হাকিম শরাফুজ্জামান আনসারী।

জামিনের সংবাদ পাওয়ার পর রাশেদের মা সালেহা, সোহেলের মা জমিনা বেগম আনন্দে কাঁদতে থাকেন আদালতে। অন্য ছাত্রদের জামিন দিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোসহ অন্য মহানগর হাকিমগণ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com