সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সেতু বিভাগের সচিব হলেন ফাহিমুল ইসলাম ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ প্রথম মাসের বেতন ত্রাণ তহবিলে দিলেন আসিফ মাহমুদ ধামরাইয়ে ৯ দাবিতে আকিজ ফুড শ্রমিকদের বিক্ষোভ নারায়ণগঞ্জে বাজারে আগুন, ৩০ দোকান পুড়ে ছাই পদ্মার চরে পানি, হতাশ চাষিরা এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা আজ থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ দিল্লির সুপারশপে দেখা মিললো সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুলের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার ৭ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবসে সরকারের নানা কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

কৃষকের মাথায় অতিরিক্ত চার কোটি টাকার বোঝা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

বোরো মৌসুমে প্রতি হেক্টরে ডিজেলেই চাষিদের অতিরিক্ত খরচ গুনতে হয় ৭০০ টাকারও বেশি। এতে কুড়িগ্রাম জেলার দুই লাখ প্রান্তিক কৃষককে চার কোটিরও বেশি টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। যদিও কৃষি বিভাগের দাবি, নতুন করে বিদ্যুত্চালিত সেচযন্ত্র চালু ও অলটারনেটিভ ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রাই পদ্ধতি ব্যবহারে উৎপাদন ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এক লাখ ১৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৩৮ হাজারের বেশি ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার করে বোরো আবাদ করছেন দুই লাখেরও বেশি প্রান্তিক কৃষক।

কৃষকরা বলছেন, বোরো মৌসুমে গড়ে প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ বার সেচ দিতে হয়। এতে প্রয়োজন হয় ৪৫-৫০ লিটার ডিজেল। এই হিসাবে হেক্টরপ্রতি জমিতে বোরো চাষে ডিজেলের বাড়তি দামে কৃষকের অতিরিক্ত খরচ হবে ৭০০ টাকারও বেশি। এতে পুরো জেলায় কৃষকের বাড়তি খরচ হবে চার কোটি ৬০ লাখ টাকা।

সরেজমিন রাজারহাট উপজেলার সরলার দোলা এলাকায় দেখা যায়, বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। তবে ডিজেল, সারসহ সব কৃষি উপকরণের বাড়তি দামের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ।

দেবালয় গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডিজেলসহ সব উপকরণের দাম বাড়ায় এক একর জমিতে বোরো আবাদ করতে গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত প্রায় দুই-তিন হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। ’ একই গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘এবার ডিজেলের মূল্য বাড়ার কারণে প্রতি একরে সেচ খরচ ৪০০ টাকা, ট্রাক্টর দিয়ে চাষে ২০০ টাকা ও মাড়াইয়ে ৩০০ টাকা খরচ বেশি পড়েছে।

সারসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্যও চড়া। তাই প্রতি একরে অতিরিক্ত খরচসহ মোট খরচ পড়বে প্রায় ৪২ হাজার টাকা। অথচ ধানের দাম প্রতি মণ ৮০০ টাকা হলে ও একরে ৫০ মণ ফলন হলে ৪০ হাজার টাকার বেশি উঠবে না। তাই এ বছর বোরো চাষে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ’

এদিকে চরাঞ্চলে বোরো ক্ষেতে বাড়তি সেচ দিতে হয় বলে তাঁদের সেচ খরচ আরো বেশি পড়বে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কৃষকরা। উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চর মশালের চরের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন তিনি। বালুমিশ্রিত জমিতে প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। প্রতি লিটার ডিজেলে ১৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন চরের কৃষকরা।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘এরই মধ্যে সেচের পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অনেক কৃষক আবেদন করেছে। দ্রুত সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা ছাড়া সেচের খরচ কমানোর জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বোরো আবাদে অলটারনেটিভ ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রাই পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সেচ খরচ কমবে, বাড়বে উৎপাদন। ’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com