ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের আলাদিন জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনায় খোকন চন্দ্র দাস (৩১) নামে কুমিল্লার হোমনার এক সোনার দোকানের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১৫ ভরি ৩ রতি ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃত আরেক আসামির শ্বশুর বাড়ি থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত খোকন চন্দ্র দাস হোমনা থানার কাশিপুর জেলে পাড়ার হাজী জুনুর আলী প্লাজার মমতা স্বর্ণালয়ের মালিক।
ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. বাদশা চৌধুরী, মো. মিজান এবং মো. শফিককে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাদশার শ্বশুর বাড়ি থেকে চোরাই স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ১৫ ভরি ৩ রতি স্বর্ণসহ দোকান মালিক খোকন চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় এর আগে আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ১১ ভরি ৪ আনা স্বর্ণালংকার ও ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত এসব আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর মুকসাইর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৩০), চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা পীরখাইন এলাকার মো. ফরহাদ (৩৯), একই জেলার বাকুলিয়া কালামিয়া বাজারের মো. বাদশা চৌধুরী (২৩), হোমনা উপজেলার কামাল্লা গ্রামের মো. সজিব প্রকাশ প্রকাশ শুক্কুর (২৬), একই জেলার মুরাদনগর মোল্লাপাড়ার মো. মিজান (২৮) এবং দেবিদ্বার পান্নারপুল এলাকার মো. শফিক সোহেল প্রকাশ দাঁতলা শফিক (৩২)।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি আলাউদ্দিন, ফরহাদ হোসেন ও সুমন প্রকাশ শুক্কুর আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে জানান পুলিশ সুপার জাকির হাসান।
পুলিশ সুপার বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে আলাদিন জুয়েলার্সের মালিক দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পর চক্রের প্রধান বাদশার নেতৃত্বে প্রায় ১২ জন স্বর্ণ লুটে অংশ নেয়। এ ঘটনার পর তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল সোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানা, বাকুলিয়া থানা, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, হোমনা, দেবিদ্বারসহ অন্যান্য এলাকা থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় লুট হওয়া ৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ১১ ভরি ৪ আনা ও নগদ ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় মোট ১২ জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুরে ইউনিয়নের রহিম উল্ল্যাহ সাহেবের বাজারে আলাদিন জুয়েলার্সে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে