আটক বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারাগারে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, কারাবন্দি দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি মানবিক আচরণ করা হচ্ছে। নিশিরাতের সরকারের সাজানো মিথ্যা মামলায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাবেক মন্ত্রী ও এমপিরা কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও শুরুতে তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়নি।
এমনকি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ অত্যন্ত অসুস্থ। তাকেও ডিভিশন দেওয়া হয়নি। বীরমুক্তিযোদ্ধা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে দেওয়া হয়নি ডিভিশন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দলের শীর্ষ নেতাদের আটকের পর চব্বিশ ঘণ্টার বেশি সময় তাদের লকআপে রাখা হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃত অধিকাংশ নেতাকর্মী হৃদরোগ, ডায়াবেটিকসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত থাকলেও তাদের ওষুধপত্র পর্যন্ত কারাগারে দিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপরও কারাগারে তাদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। কারাবন্দিদের পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কারাফটকে নিয়ে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ তা ফিরিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আটককৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা মিথ্যা সাজানো মামলায় রাজবন্দি হলেও তাদের সঙ্গে আচরণ করা হচ্ছে চিহ্নিত খুনি ও দুদর্ষ আসামির মতো। যা কারাবিধি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। আমরা কারাবন্দি দলের শীর্ষ নেতাসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে এমন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের কারাবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য চিকিৎসার সুযোগসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তা আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আবুল বাশার, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, আমিরুজ্জামান শিমুল, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, কামরুজ্জামান দুলাল নিখোঁজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিমের পিতা আবদুল হাই ভুঁইয়া, মা আবেদা খানম, ভাই আবদুল হামিদ, আবদুর রহমান, আবদুল মান্নান ভুঁইয়া, আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ