নওগাঁর পত্নীতলার ঘোষনগর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা পারভীনের গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার উপজেলার কমলাবাড়ি গ্রামে রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১২টার দিকে হঠাৎ ফারজানা পারভীনের বাড়িতে আগুনের শিখা দেখা যায়। এরপর গ্রামবাসী ছুটে গিয়ে দেখে বাড়ির সামনে গ্যারেজে রাখা কয়েকটি মোটরসাইকেল ও বাড়ির অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মামলার পর ওই গ্রামটি বর্তমানে পুরুষশূন্য। ফলে এগিয়ে আসার মতো কোনো মানুষ ছিল না। কিছু নারী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভায়। কিন্তু এরইমধ্যে আগুনে বাড়ির অনেক কিছু পুড়ে যায়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা পারভীনের মেয়ে জামাই আতিকুর রহমান বলেন, আমার শাশুড়ি এবং শ্বশুর দুজনই এখন জেলে আছেন। আমার পরিবার নিয়ে নওগাঁ শহরে থাকি। এজন্য বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে রাত ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। আগুন নেভানোর মানুষ ওই গ্রামে নেই। পরে ফায়ার ফার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ রায়হান ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর আমরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বাড়ির অনেক আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। মনে হচ্ছে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তবে কিভাবে আগুন লাগলো বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম বলেন, আগুন লাগার ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ওই রাতেই পত্নীতলার ঘোষনগর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারহানা পারভীন ও তার স্বামী মতিউর রহমানসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় ফারজানাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো আড়াই হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘোষনগর ইউনিয়নসহ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
বাংলা৭১নিউজ/সিএফ