বাংলা৭১নিউজ প্রতিবেদক: কাশিমপুর কারাগারের রক্ষী খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কারা কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের ৬৮টি কারাগারে নিরাপত্তা সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে।
কারা নিরাপত্তারক্ষী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুনরায় হামলা হতে পারে- এই আশঙ্কায় কারাগারগুলোতে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, কাশিমপুরের ঘটনার পর মনে হয়েছে কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এবং বন্দিদের নিরাপত্তায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য প্রতিটি কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারের সবগুলো সংস্থার সহায়তায় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে রুস্তম আলী কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হয়ে ২৫০ গজ দূরে `আহমদ মেডিসিন কর্নার` নামে একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ খবর সকালেই কারা অধিদপ্তরসহ সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
পুরান ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর, কেরানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম কারাগারসহ সবগুলো কারাগারে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র আরও বলছে, কারাগারের ভেতরে থেকে বন্দিরা যাতে কোনোভাবেই বাইরে যোগাযোগ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি আসামিদের নিরাপত্তার কোনো সংকট আছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। ৬৮টি কারাগারে মোট ৫১৪ জন বিদেশি বন্দি রয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারাগারগুলোতে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/এস