সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও ম্যানটেনেন্স) লেফটেনেন্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ ও সুগন্ধা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন তিনি। এ ঘটনার জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে দুষছেন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জিল্লুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ড এমন একটা দুর্ঘটনা, যাতে ক্রাইমসিন আলামতগুলোও নষ্ট করে দেয়। তবে মনে হয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অসাবধানতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এতো পরিমাণে হতাহত হয়েছে। আগুন লাগার পরে নির্বাপণের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লাইফ জ্যাকেট ও বয়া পর্যাপ্ত না থাকলেও যা ছিল তা ব্যবহারে সরবরাহ করা হয়নি। যখন আগুন লেগেছে এরপরও এক ঘণ্টার বেশি সময় লঞ্চ চালিয়েছে। শুরুতেই যদি কোনো তীরে ভিড়ানো হতো তাহলে ক্ষয়-ক্ষতি এতো বেশি হতো না। জানমাল রক্ষা পেতো।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চের ধারণক্ষমতার চেয়ে সবসময় বেশি লোক তোলে। এ লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৪২০ জনের। তারা ভয়েস ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে ৩১০ জনের। এখানেই ১১০ জন কম দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রাপ্ত সংবাদে ৭০০ থেকে এক হাজার লোক ছিল।
ফায়ার পরিচালক বলেন, ঘটনা তদন্তে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। পুরো তদন্ত শেষ করতে আমাদের প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর আমরা একটা ধারণা দিতে পারবো কোন কারণে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পর কর্তৃপক্ষ দ্রুত লঞ্চটি নোঙর করে পাড়ে থামিয়ে রাখলে এত লোকের মৃত্যু হতো না। যেহেতু নদী খুব ছোট। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি। যার কারণে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।
এ সময় তার সঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়াসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।