ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে জবুথবু চা শ্রমিকরা। তবে শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে তাদের। চা বাগান গুলোতে পাতা উত্তোলনের কাজ নেই এখন। চলছে ক্রুনিং বা কলম কাটিং এর কাজ। এতে বদলে গেছে চা বাগানের দৃশ্যপট।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মাথিউড়া চা বাগানের মোকাম টিলা ২০ নম্বর সেকশন ঘুরে শ্রমিকদের ক্রুনিংয়ের কাজ করতে দেখা গেছে।
চা শ্রমিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ফজরের আজানের সময় প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই ক্রুনিংয়ের কাজে আসি। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে। আমরা শীতের কাপড় পাই না।
একই চা বাগানে নারী চা শ্রমিক বলেন, আমরা কষ্ট করে শীত উপেক্ষা করে কাজে আসি। আমরা অনেক কষ্ট করি কিন্তু বকেয়া মজুরি পাচ্ছি না।
মৌলভীবাজার জেলার লংলাভ্যালীর চা শ্রমিক নেতা ভ্যালী সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জীবিকা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। চা শ্রমিকদের শীত ও নেই গরমও নেই। কাজ ছাড়া তাদের উপায় নেই। এ জন্য এই শীতে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ভোরে প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে কাজে যোগ দিতে হচ্ছে।
রাজনগর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সাহাব উদ্দিন বলেন, উন্নত বাগান পরিচালনা করতে দুটি বড় কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এর একটি হলো ক্রুনিং ( কলমকাটিং) যার দ্বারা চা গাছে খাদ্যর ঘাটতি দূর হয়। একই সঙ্গে ব্রানচিং (শাখা বিন্যাস) ঘটে। আরেকটি হলো প্লানটেশন। এতে চা উৎপাদনে নতুন এলাকা চাষের আওতায় আসে। এমন খারাপ আবহাওয়াতেও শ্রমিকদের কাজ করতে হচ্ছে। এর বিকল্প কিছু করার নেই।
জেলার চাঁনভাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মুজিবুর রহমান বলেন, মালিক পক্ষ কোনো ধরনের সহযোগিতা করলে আমরা তা যথাযথভাবে শ্রমিকদের হাতে পৌঁছে দেই। শীত বস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ