মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’ বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করবে সরকার এবার ভারতে দুই শিশুর শরীরে মিললো এইচএমপিভি চারদিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭৬৫ কোটি টাকা বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার করতে হবে বেপজাকে: প্রধান উপদেষ্টা মেক্সিকোতে পানশালায় বন্দুক হামলা, নিহত ৫ সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর নামে দুর্নীতির ২ মামলা খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোক ঘরে ফিরেই জ্বলে উঠেছে সিলেট বৃহস্পতিবার থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা ডিজিটাল কোর্ট করে দেননি কেন? পলককে বিচারকের প্রশ্ন কোন ডিবি সাধারণ পোশাক পরে আসামি গ্রেপ্তার করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৮২তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস জিতলেন যারা গাজীপুরে আজও সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের জন্মদিন আজ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ শওকত ওসমানের ১০৪তম জন্মদিন আজ। ১৯১৭ সালের আজকের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

ছাত্রজীবনেই পিতৃদত্ত নাম শেখ আজিজুর রহমান বাদ দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে শওকত ওসমান নামে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। আজীবন অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তচিন্তার ধারক ছিলেন তিনি। তীক্ষষ্ট সমাজ সচেতনতা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে তার গল্প-উপন্যাস প্রখর জীবনবাদী।

তার রচিত ‘ক্রীতদাসের হাসি’ স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে অন্যতম রচনা।

তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪১ সালে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) চলে আসেন তিনি। ঢাকা কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তার পেশাজীবন শুরু। এ ছাড়া চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারেও চাকরি করেছেন তিনি।

শওকত ওসমান প্রধানত গল্প ও উপন্যাস রচনা করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ‘জননী’, ‘ক্রীতদাসের হাসি’, ‘সমাগম’, ‘চৌরসন্ধি’, ‘রাজা উপাখ্যান’, ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।

গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প’, ‘মনিব ও তাহার কুকুর’, ‘ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী’ প্রভৃতি। স্মৃতিকথার মধ্যে রয়েছে ‘স্বজন সংগ্রাম’, ‘কালরাত্রি খ চিত্র’, ‘অনেক কথন’, ‘গুডবাই জাস্টিস মাসুদ’, ‘মুজিবনগর’ ইত্যাদি।

সাহিত্যকর্মে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরমেন্স পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, টেনাশিস পুরস্কার ও মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পদক পেয়েছেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় পাঁচ বছর কলকাতায় স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন শওকত ওসমান। ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ সেরিব্রাল অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। একই বছরের ১৪ মে সকালে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/সি এইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com